ইউক্রেনে রুশ হামলায় চীনা কনস্যুলেট ক্ষতিগ্রস্ত
প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর চালানো হামলায় চীনের এক কনস্যুলেট ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার পৃথক হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাতে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহরগুলোতে টানা তৃতীয় রাতের মতো চালানো হামলায় এই ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দর শহরগুলোতে টানা তৃতীয় রাতের বিমান হামলায় বৃহস্পতিবার অন্তত তিনজন নিহত এবং একটি চীনা কনস্যুলার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ কিপার কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী বন্দর শহর ওডেসার চীনা কনস্যুলেটে অন্তত একটি ভাঙা জানালা দেখা যাচ্ছে এমন একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তবে চীনা ওই কনস্যুলেটে অন্য কোনও ক্ষতির চিহ্ন নেই। বস্তুত ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান করছে চীন। তবে রুশ হামলায় ইউক্রেনে চীনা কনস্যুলেট ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি রুশ-মিত্র বেইজিং। অন্য একটি ইউক্রেনীয় বন্দর নগরীতে রুশ হামলায় চীনের জন্য নির্ধারিত ৬০ হাজার টন কৃষি পণ্য ধ্বংস হয়ে গেছে বলে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মন্তব্য করার একদিন পর এই হামলার ঘটনা ঘটল।
মস্কো বলেছে, তাদের সামরিক বাহিনী ‘প্রতিশোধমূলক হামলা’ চালিয়েছে। এছাড়া রাশিয়ান সামরিক সরবরাহ পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ একটি সেতুতে বিস্ফোরণের পেছনে ইউক্রেনকে অভিযুক্তও করেছিল মস্কো। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, রাশিয়ান বাহিনী রাতের আধাঁরে ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৯টি ড্রোন নিক্ষেপ করে এবং এর মধ্যে ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৩টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়ান সন্ত্রাসীরা আমাদের জীবন ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা একসঙ্গে এই ভয়ানক সময় কাটিয়ে উঠব। এবং আমরা রুশ আক্রমণ প্রতিহত করব।’
এছাড়া বন্দরনগরী ওডেসায় রুশ হামলায় একজন নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন এবং এক শিশুসহ আরও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন বলে সেখানকার গভর্নর কিপার বলেছেন। অন্যদিকে মাইকোলাইভ শহরে এক বিবাহিত দম্পতি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার মেয়র অলেক্সান্ডার সেনকেভিচ। আঞ্চলিক গভর্নর ভিটালি কিম বৃহস্পতিবার বলেন, শহরে রুশ হামলায় ১৯ জন আহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।