ইউক্রেনে আরও ১৬০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে ব্রিটেন

 ইউক্রেনে আরও ১৬০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে ব্রিটেন
ইউক্রেনে আরও ১৬০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেবে ব্রিটেন

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর আগ্রাসনে অনেকটাই বিপর্যস্ত ইউক্রেন। তবে রুশ সেনাদের মোকাবিলায় সাধ্যমতো চেষ্টা করছে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি। এছাড়া আগ্রাসন মোকাবিলায় কিয়েভের পাশে অর্থ ও সামরিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।

এরই ধারাবাহিকতায় ইউক্রেনকে আরও ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন পাউন্ড বা ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। রোববার (৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে যুক্তরাষ্ট্রসহ শিল্পোন্নত ৭ দেশের জোট গ্রুপ অব সেভেন (জি-৭) নেতাদের ভিডিও কলের মাধ্যমে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকের আগে দেশটিতে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে শনিবার এই প্রতিশ্রুতি দিলো যুক্তরাজ্য।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।

অবশ্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আক্রমণ শুরু করার পর থেকে রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য ইউক্রেনের প্রচেষ্টার অন্যতম শক্তিশালী সমর্থক হিসেবে কাজ করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য বহু অস্ত্র পাঠিয়েছে জনসন সরকার।

তবে সামরিক সহায়তা হিসেবে দেওয়া নতুন এই প্রতিশ্রুতি ইউক্রেনে ব্রিটেনের আগের ব্যয়ের প্রতিশ্রুতির প্রায় দ্বিগুণ। ব্রিটিশ সরকার বলছে, ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের ব্যয়ের পর কোনো সংঘর্ষে এটিই হবে তাদের সর্বোচ্চ ব্যয়। যদিও ইউক্রেনকে সহায়তায় ব্রিটেন কত অর্থ খরচ করছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দেশটি।

শনিবার এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, ‘(প্রেসিডেন্ট) পুতিনের নৃশংস এই হামলা শুধু ইউক্রেনেই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটাচ্ছে না – এটি ইউরোপজুড়ে শান্তি ও নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলছে।’

এর আগে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পর গত সপ্তাহে প্রথম পশ্চিমা নেতা হিসেবে ইউক্রেনীয় পার্লামেন্টে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। আর এবার জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর অর্থাৎ ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা রোববার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন।

ব্রিটেন বলছে, ইউক্রেনে অতিরিক্ত সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় এই ব্যয় জরুরি অবস্থার মধ্যে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত রিজার্ভ থেকে বহন করা হবে।

এর আগে রাশিয়ার আগ্রাসন মোকাবিলায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আরও ১৫০ মিলিয়ন বা ১৫ কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র সহায়তা প্যাকেজ পাঠানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন এই সহায়তা প্যাকেজটিতে স্বাক্ষর করেন।

মূলত রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনকে সহায়তা করতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই সহায়তা প্যাকেজের অধীনে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে আরও বেশি কামানের গোলাবারুদ, রাডার ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠাবে বাইডেন প্রশাসন।

বিবিসি বলছে, ইউক্রেনে পাঠাতে যাওয়া ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের এই অস্ত্র সহায়তার মধ্যে ১৫৫ মিমির ২৫ হাজার আর্টিলারি রাউন্ড, কাউন্টার-আর্টিলারি রাডার, জ্যামিং সরঞ্জাম, ফিল্ড সরঞ্জাম এবং খুচরা যন্ত্রাংশ রয়েছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom