আবার একটি যুদ্ধ করব, তবু এই সরকারের কাছে নত হবো না: দুদু
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির যৌক্তিক আন্দোলনে গত ছয় মাসে ১৭ থেকে ১৮ জন শহীদ হয়েছে জানিয়ে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দেশে যদি ১৯৭১ সালের মতো আবার একটি যুদ্ধ করতে হয় করব। তবুও এই জালিম সরকারকে মেনে নেওয়া হবে না।
শুক্রবার ২৩ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় এবং দলটির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সকল মামলা বাতিল ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এই পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদেরকে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করা ছাড়া অন্য কোন পথ নাই।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রায় পাঁচ বছর যাবত কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। মিথ্যা মামলায় তথা কথিত বিচারের নামে তাকে দণ্ডিত করা হয়েছে। এই বিচারদণ্ড বাতিল করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমান যিনি আগামীতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন। কার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সে মামলা ও রায় গুলো বাতিলের আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশে ও বিদেশে যারাই বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সমর্থন জানাবে তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে দুদু বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশে একনায়কতন্ত্র ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ একনায়কতন্ত্র মানে না। তারা এক সাগর রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সেই গণতন্ত্র হরণ করবে আর দেশের মানুষ বসে থাকবে? বসে থাকবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির যৌক্তিক আন্দোলনে গত ছয় মাসে ১৭ থেকে ১৮ জন শহীদ হয়েছে। ১৯৭১ সালের মতো যদি আবার একটি যুদ্ধ করতে হয় করবে তবুও এই জালিম সরকারকে মেনে নেওয়া হবে না। এই সরকার অর্থনীতিকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে। সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক সহ প্রায় সকল ব্যাংক ধ্বংস করে ফেলেছে। এত লুটেরা সরকার, এত অর্থ পাচারকারী সরকার বাংলাদেশ কেন বিশ্বের আর কোন দেশ এর আগে কখনো দেখেনি।
সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, এই দেশে ভাষা আন্দোলন করেছে, মুক্তিযুদ্ধ করেছে, স্বৈরাচারী এরশাদ কে পতন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। তাই এই দেশ স্বৈরাচারী, অবিচারের কাছে কখনো মাথা নত করে নাই আর করবেও না।
এ সময় সবাইকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে দেশ গড়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া যে দেশ গড়েছিলেন। তারেক রহমান এই দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান সেই লক্ষ্যে আমরা রাস্তায় নেমে আসি।
বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য বিলকিস ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন শ্যামল, কৃষকদলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম, যুব জাগপার সভাপতি আমির হোসেন আমু প্রমুখ।