Ad0111

আবরার হত্যার ২৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ

শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ

আবরার হত্যার ২৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ
আবরার হত্যার ২৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড চায় রাষ্ট্রপক্ষ

প্রথম নিউজ, ঢাকা : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

রোববার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মামলার চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন করেন। যুক্তি উপস্থাপন শেষে তিনি ২৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেছেন। এদিন বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার যুক্তি উপস্থাপন করবেন। তার যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন শুরু করবেন।

চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল জাগো নিউজকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। আসামিরা একজন ঘুমন্ত মানুষকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডে কান্না করেছে আবরারের পরিবার, কেঁদেছে পুরো জাতি। তারা সবাই শিক্ষিত। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়া যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর মামলার চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। এদিন তা শেষ হয়নি। আদালত আগামী ২৪ অক্টোবর যুক্তি উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেন।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

ওই ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন ও তদন্তে প্রাপ্ত আরও ছয়জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন।

গ্রেফতার ২২ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রাসেল, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।

মামলার তিন আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি।

২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news