আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিক্ষোভ
ডা. জোবায়দা রহমানের বিরদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে আইনজীবীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা
প্রথম নিউজ, ঢাকা : জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে আইনজীবীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
বুধবার (৩১ মে) দুপুর ২টার পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। এরপর তারা মিছিল নিয়ে আদালতের এজলাসের বাইরে অবস্থান নেন ও বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ সময় অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা বলেন, এই সরকারের আমলে কোনো বিচার হতে পারে না। নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে একটা রায় দিয়ে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানকে দেশের মানুষের কাছে ও বিশ্ববাসীর কাছে হেয় করার একটা পাঁয়তারা করছে। আমরা তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এই প্রহসনের বিচার বন্ধের দাবি জানাই।
এদিকে দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আদালতে হট্টগোলের ঘটনায় বিএনপিপন্থি ২৮ জন আইনজীবীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় অন্যদেরসহ কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ মে) জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আদালতে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালত কক্ষে অবস্থান নিলে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এসময় বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান। অন্যদিকে আদালতের বাইরে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
ওইদিন প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী জানান, সাক্ষ্যগ্রহণের সময় এজলাসের ভেতরে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এসময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের কয়েকজন বিভিন্ন স্লোগান দিতে শুরু করেন।
অন্যদিকে আদালতের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা ধাওয়া দিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের এজলাস থেকে বের করে দেন। এসময় কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। এজলাস থেকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা চলে গেলে সন্ধ্যা ৬টায় এজলাসে বসেন বিচারক। এরপর ৬টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত এম এ মতিন নামের ওই ব্যক্তির সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।