আওয়ামী ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন

আওয়ামী ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সংগঠনের সভাপতি হিসেবে মাওলানা কে এম আব্দুল মমিন সিরাজী ও মো. আমিনুল হককে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে কমিটির চিঠিতে সই করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিঠিতে সই করেছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নতুন সাধারণ সম্পাদক আল্লামা মো. আমিনুল হক। 

সংগঠনের সহ-সভাপতির ১৫টি পদের মধ্যে ১২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন- হাফেজ মাওলানা সাগর আহমেদ শাহিন, হাফেজ মো. দেলোয়ার হোসেন (সাবেক সদস্য সচিব), মাওলানা নুর মোহাম্মদ আহাদ আলী সরকার, মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, হাফেজ মাওলানা আবদুস ছাত্তার, হাফেজ মাওলানা সাইফুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা মুফতি শেখ মো. কামাল উদ্দিন কাসেমী, হাফেজ মাওলানা সুলাইমান, হাফেজ ক্বারী মাও আব্দুল খালেক ছানুবী, হাফেজ মাওলানা ইদ্রিছ আলম আল কাদেরী, মাওলানা মো. আবু ইউসুফ আল হেলালী, হাফেজ আব্দুল বারিক তালুকদার ও মাওলানা মো. মনোয়ার হোসেন আনোয়ার। 

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে চারজনের মধ্যে মাওলা মো. কাজী অলি উল্লাহ ভূইয়ার নাম জানানো হয়। তিনটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ শূন্য রয়েছে। এদিকে সাংগঠনিক সম্পাদকের ১০ পদের মধ্যে পাঁচটি পূরণ করা হয়েছে। তারা হলেন- হাফেজ মা. আনোয়ার হোসেন জুয়েল, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল ইসরাফিল, মাওলানা রবিউল আলম সিদ্দিকী, মাওলানা মো. সোলাইমান নোমানী ও খন্দকার মো. সাজ্জাদুন নূর। 

এছাড়া দপ্তর সম্পাদক হলেন শায়েখ মুফতি আলমগীর হোসেন, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মো. আলতাফ হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা কাজী রবিউল ইসলাম, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মাওলানা মো. হাসানুজ্জামান চিশতী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী হাফেজ মো. বিল্লাল পাটোয়ারী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকব হাফেজ মাওলানা আল্লামা মুফতি মিজানুর রহমান মিয়ানী। 

এই কমিটিতে ১৫টি সহ-সম্পাদক পদের মধ্যে মাত্র একজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি হলেন অধ্যাপক মাওলানা খ. ম. শাহাদাৎ হোসাইন মিজান। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। ২০ সদস্যের মধ্যে চারজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন- পীরজাদা পীর আকতার হোসেন বোখারী, মাওলানা আব্দুল আলীম আজাদী, ড. মাওলানা তৌহিদুল ইসলাম ও কাজী মাওলানা মো. আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী। এই পদে এখনো ১৬টি পদ শূন্য রয়েছে।

প্রসঙ্গত, নব্বইয়ের দশকে ওলামা লীগের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৬ সালের পর থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সক্রিয় হতে দেখা যায়। এরমধ্যেই বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে এ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে ওলামা লীগ নামে কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই দাবি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের স্বীকৃতি দিলো ক্ষমতাসীন দলটি।