আইএমএফের দেনা শোধে কাতার থেকে ঋণ নিচ্ছে আর্জেন্টিনা
প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণ দাতা সংস্থা আইএমএফের ঋণের কিস্তি শোধ করতে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ কাতারের সরকারের কাছ থেকে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ নিচ্ছে আর্জেন্টিনা। শুক্রবার এই ঘোষণা দিয়েছেন আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রী সের্গিও মাসা। ঘোষণায় তিনি বলেছেন, বাৎসরিক ৪ দশমিক ০৩ শতাংশ হারে সুদের শর্তে আর্জেন্টিনাকে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দিতে রাজি হয়েছে কাতার। সেই টাকা দিয়েই শোধ করা হবে আইএমএফের ঋণের কিস্তি।
এর আগে সোমবার এক ঘোষণায় সের্গিও মাসা জানিয়েছিলেন, আইএএফের ঋণের কিস্তি পরিশোধে নিজেদের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভে হাত দেবে না সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপজয়ী দেশ আর্জেন্টিনায় ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে মূল্যস্ফীতি। চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটিতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির গড় হার ছুঁয়েছে ১০০ শতাংশের কোঠা। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সুদের হার ৯৭ শতাংশ বাড়িয়েছে আর্জেন্টিনার কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই দেশটিতে ১৯৯০ সালের পর থেকে এই পর্যায়ের মূল্যস্ফীতি আর দেখা যায়নি। এমনকি, আর্জেন্টিনার ইতিহাসে এর আগে কখনও মূল্যস্ফীতির হার ১০০ শতাংশেও পৌঁছায়নি। প্রকৃতপক্ষে, আর্জেন্টিনর আগে আগে বিশ্বের মাত্র দু’টি দেশের মূল্যস্ফীতি ১০০ শতাংশে পৌঁছানোর রেকর্ড পাওয়া যায়— ভেনেজুয়েলা এবং জিম্বাবুয়ে।
একদিকে আর্জেন্টিনায় যেমন হু হু করে বাড়ছে মূল্যস্ফীতি; তেমনি অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে কমছে দেশটির মুদ্রা পেসোর মান। ২০২২ সালে ডলারের বিপরীতে পেসোর মান ২৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলতি বছর অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা আর্জেন্টিনায়। তার আগে এই টালমাটাল অর্থনীতির জেরে স্বাভাবিকভাবেই বিব্রত দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলবের্তো ফের্নান্দেজ। ইতোমধ্যে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন— সামনের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না তিনি।