অল্প কষ্টে মৃত্যু হয় টাইটানের যাত্রীদের : বিশেষজ্ঞ

অল্প কষ্টে মৃত্যু হয় টাইটানের যাত্রীদের : বিশেষজ্ঞ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে বিস্ফোরিত হওয়া ডুবোযান টাইটানের যাত্রীদের অল্প কষ্টে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক বিশেষজ্ঞ। এমনকি তাদের মৃত্যুটা এতটাই দ্রুত হয়েছে যে— তাদের কেউ বুঝতে পারেননি এতে বিস্ফোরণ হয়েছিল।

ডুবোযান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ওফের কেটার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে শনিবার (২৪ জুন) বলেছেন, ‘চাপ কমাতে জাহাজের কাঠামোর ভেতর যদি কোনো কিছু ঢুকে থাকে, তাহলে, ন্যানো সেকেন্ড না হলেও মিলি সেকেন্ডের মধ্যে বিস্ফোরণ হবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘তারা কেউ বুঝতে পারেনি বিস্ফোরণ হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যা ইতিবাচক খবর। তাদের মৃত্যু তাৎক্ষণিক হয়েছে— এমনকি তারা কষ্ট পাচ্ছে— ব্রেন এমন বার্তা দেহে পাঠানোর আগে তাদের মৃত্যু হয়েছে।’

গত ১৮ জুন পাঁচ আরোহী নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুব দেয় টাইটান। যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর উপরে থাকা জাহাজের সঙ্গে এটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ই ডুবোযানটিতে বিস্ফোরণ হয়। টানা চারদিনের উদ্ধার অভিযান শেষে টাইটানিকের জাহাজের কাছেই টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। তখন যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড নিশ্চিত করে, আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছেন।

যখন ডুবোযানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তখন এটি সমুদ্রের তলদেশ থেকে ১০ হাজার ফুট উপরে ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।


এদিকে ডুবোযানটিতে করে এবার টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়েছিলেন এটির পরিচালনকারী সংস্থা ওশেনগেটের সিইও স্টকটন রাসম, ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ, আরেক ব্রিটিশ ধনকুবের হামিস হার্ডিং এবং ডাইভিং বিশেষজ্ঞ পল-হেনরি নারগোলেট।

কিভাবে এই ডুবোযানটিতে বিস্ফোরণ হলো সেটি এখন তদন্ত করা হচ্ছে।