Ad0111

অ্যাসিডে ঝলসে ১২ দিন লড়াইয়ের পর হেরে গেলেন সাথী

গত ২৮ জানুয়ারি মধ্যরাতে সাবেক স্বামী মো. নাঈম অ্যাসিড ছুড়ে ঝলছে দেয় সাথীর হাত-মুখ।

অ্যাসিডে ঝলসে ১২ দিন লড়াইয়ের পর হেরে গেলেন সাথী
নিহত পোশাক শ্রমিক সাথী আক্তার

প্রথম নিউজ,মানিকগঞ্জ: সাবেক স্বামীর ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে যাওয়া পোশাক শ্রমিক সাথী আক্তার(১৯) মারা গেছেন। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ১২ দিন পর মৃত্যু হয় তার। সাথী আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই সোহেল হোসেন।

গত ২৮ জানুয়ারি মধ্যরাতে সাবেক স্বামী মো. নাঈম অ্যাসিড ছুড়ে ঝলছে দেয় সাথীর হাত-মুখ। জানা গেছে, জেলার সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের ফেরাজীপাড়া-কাটাখালী এলাকার নিজ বাড়িতে মা এবং ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন পোশাক শ্রমিক সাথী আক্তার। মধ্যরাতে সাথীর সাবেক স্বামী মো. নাঈম ভাঙা জানালা দিয়ে অ্যাসিড ছোড়েন। এতে সাথীর হাত-মুখ ঝলসে যায়।

তাকে উদ্ধার করে দ্রুত মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সাথীকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হয় সাথীর।

নিহত সাথীর ভাই সোহেল হোসেন জানান, ময়নাতদন্ত শেষে তার বোনের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। এদিকে সাথীকে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এরইমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন সাবেক স্বামী মো. নাঈম। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, সাথী আক্তারের বাবা আব্দুস সাত্তার একজন বাক প্রতিবন্ধী। মা গৃহিণী। দুই বছর আগে সদর উপজেলার বেতিলা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে নাঈমের সঙ্গে সাথীর বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে নির্যাতন করতেন নাঈম। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। তবে পুনরায় সংসার করার জন্য নানা চাপ দেওয়াসহ হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন নাঈম। এর জের ধরেই সাথীকে অ্যাসিডে ঝলসে দেন তিনি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news