অফিস না করে ঢাকায় থাকেন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, এলাকাবাসীর ক্ষোভ
দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইসলাম অফিস না করে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকার অভিযোগ উঠেছে।
প্রথম নিউজ, দিনাজপুর : দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইসলাম অফিস না করে পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে খোঁজ নিতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে গেলে, অফিসের কর্মচারীরা বলেন তিনি অফিসে নেই। জেলার মিটিং এ গেছেন। পরে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলায় কোনো মিটিং নেই। তিনি জেলা কার্যালয়ে আসেননি। জানা যায়, চিরিরবন্দর উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অফিসে যোগদানের পর থেকেই ফাহমিদা ইসলাম নিয়মিত অফিসে আসেন না। তিনি ঢাকায় থাকেন পরিবার নিয়ে। সপ্তাহে দুই একদিন আসেন অফিসের কাজ করে আবার চলে যান। এ সময় সেবা নিতে আসা অনেকে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে অফিসে না পেয়ে তাকে ফোন দিলে তিনি জানান জেলার মিটিং আছি, অন্য দিন অফিসে আসেন।
উপজেলা আলোকডিহি গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি গত দুই সপ্তাহ যাবৎ মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অফিসে ম্যাডামকে পাইনি। অফিসের কর্মচারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, স্যার অফিসে আসেন নাই। জেলার মিটিংয়ে গেছেন। আজ বিরক্ত হয়ে জেলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে খবর নিয়ে জানতে পারি তিনি সেখানে যাননি। আমার পরিবারের মাতৃত্বকালীন ভাতার সমস্যা নিয়ে ঘুরছি প্রতিনিয়ত। তিনি না থাকায় কাজটা করতে পারছি না। আব্দুলপুর গ্রামের রুবেল ইসলাম বলেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আপাকে অফিসে পাওয়া যায় না। একটা কাজের জন্য ঘুরছি উনি অফিসে ঠিকমতো আসেন না। তাই কাজটা হচ্ছে না।
আব্দুলপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আনোয়ার বোগম বলেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস করে না সপ্তাহে এক থেকে দুইদিন অফিস করেন। বাকি দিন আসেন না। যেদিন অফিসে আসে সেদিন যদি কোনো কাজ নিয়ে যাই, তাহলে খারাপ আচরণ করেন আমাদের সঙ্গে।
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু বলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিয়মিত অফিস করেন না। বছর খানেক আগে চিরিরবন্দর উপজেলায় যোগদান করেছেন। যোগদান করার পর থেকেই এ সমস্যা। ওনার কাছে জানতে চাইলে উনি জেলা কার্যালয়ে মিটিংয়ে আছেন বলে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাহমিদা ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে মোবাইলে তিনি বলেন, আমি নিয়মিত অফিস যদি না করে থাকি তাহলে একটা রিপোর্ট করে দেন। তাহলেই অফিসে পেয়ে যাবেন বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।
জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোরশেদ আলী খান বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি তিনি জেলার মিটিং করার কথা বলে অফিসে আসে না। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।