প্রথম নিউজ, ডেস্ক: বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কার্যত শেষ। টাইগারদের সেমিফাইনালের আশা বেঁচে আছে কঠিন সমীকরণে। টানা দুই জয়ের সঙ্গে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদদের তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলের ওপরও। এমন জটিল সমীকরণ মেলাতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে টাইগার ব্যাটাররা। মাত্র ৮৪ রানে হারিয়েছে সবকটি উইকেট। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধ্বস নামে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে। দলীয় ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩.৫ ওভারে কাগিসো রাবাদার বলে ৯ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ নাঈম। পরের বলেই গোল্ডেন ডাক মারেন সৌম্য সরকার। ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহীমও।
দলীয় ২৪ রানে ৫.৩ ওভারে মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে ফেরান রাবাদা। টানা তিন উইকেট নিয়ে একাই বাংলাদেশকে ব্যাটিং বিপর্যয়ে ফেলে দেন এই প্রোটিয়া পেসার। ইনিংস লম্বা করতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৯ বল খেলে টাইগার অধিনায়কের সংগ্রহ মাত্র ৩ রান। পঞ্চম উইকেট হিসেবে ডুয়াইন প্রিটোরিয়াসকে উইকেট বিলিয়ে দেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। গোল্ডেন ডাক মারেন এই তরুণ ব্যাটার। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মেলায় একপাশ আগলে রেখে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন লিটন দাস। দলীয় ৪৫ রানে তিনিও মাপে সাজঘরের রাস্তা। ফেরার আগে ৩৬ বলে ২৪ করেন এই টাইগার ওপেনার। ২০ বলে ১১ রান করে আউট হন শামীম হোসেন পাটোয়ারি।
দলীয় সর্বোচ্চ রান করেন মেহেদী হাসান। ২৫ বলে ২৭ রানের ইনিংসে ২টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ৩ রান করেন তাসকিন আহমেদ। টাইগার ব্যাটারদের মধ্যে তিনজন বাদে কেউই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোঠা। শূন্য রানে ফিরেছেন চারজন। দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ও এনরিখ নর্তিয়ে তিন উইকেট করে শিকার করেন। দুই উইকেট নেন তাবরাইজ শামসি। একটি উইকেট ডুয়াইন প্রিটোরিয়াসের।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: