২৪০ রানের ইনিংসে রেকর্ডবুকে রাচিন রবীন্দ্র
প্রথম নিউজ, স্পোর্টস ডেস্ক: বাঁ-হাতি স্পিন আর টেলএন্ডার ব্যাটার হিসেবে নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলে এসেছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বনে যান পুরোদস্তুর ওপেনার। নতুন ভূমিকায় ভারতে স্বপ্নের মতো কাটিয়েছেন। বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরি করা এই ব্যাটসম্যান সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের (৫৭৮) দৌড়েও ছিলেন প্রায় শেষ পর্যন্ত। নিউজিল্যান্ড যে আরেকজন বড় তারকা পেতে যাচ্ছে, অনেক ক্রীড়াবোদ্ধাই তেমন মত জানিয়েছিলেন। ওয়ানডেতে বাজিমাতের পর এবার টেস্টেও দারুণ শুরু করলেন। অভিষেক সেঞ্চুরির ইনিংস টেনে নিয়ে গেলেন আড়াইশোর দোড়গোড়ায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সাদা পোশাকে নামার আগে তিনটি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা ছিল রাচিন রবীন্দ্রর। যেখানে ৬ ইনিংসে সাত ও আট নম্বরে ব্যাট করে মোটে ৭৩ রান করতে পেরেছিলেন। সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল ১৮ রানের। তৃতীয় টেস্ট খেলার দুই বছর পর আবারও টেস্ট খেলতে নেমেই ব্যাট হাতে নিজের জাত চেনালেন। মূলত হেনরি নিকোলস বাদ পড়ায় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। ব্যাটিং অর্ডারেও প্রমোশন পেয়ে উঠে আসেন চার নম্বরে।
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের প্রথম দিনেই গতকাল (রোববার) শতরানের অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন রবীন্দ্র। দ্বিতীয় দিনে আজ সোমবার ডাবল সেঞ্চুরি ছুঁয়ে তিনি আউট হন শেষ পর্যন্ত ২৪০ রানে। ৫৪৬ মিনিট ক্রিজে থেকে ৩৬৬ বল খেলে ২৬ চার ও ৩ ছক্কায় ইনিংসটি খেললেন ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবার ওপরে এখন তিনিই। এর আগে ১৯৯৯ সালে ম্যাথিউ সিনক্লেয়ার অভিষেক টেস্ট সেঞ্চুরিকে ২১৪ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া কিউইদের হয়ে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়ার কীর্তি গড়তে পেরেছেন আর কেবল দুজন। ১৯৪৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মার্টিন ডনেলি। আর সর্বশেষ ২০২১ সালে সেই ইংলিশদের বিপক্ষেই ২০০ রান করেন ডেভন কনওয়ে। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে সবচেয়ে বড় ইনিংসের রেকর্ডটি অনেক বছর ধরে স্যার গ্যারি সোবার্সের। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জ্যামাইকায় অপরাজিত ৩৬৫ রানের বিখ্যাত ইনিংসটি খেলেন তিনি।
রাচিনের ডাবল ও উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫১১ রানের পাহাড় গড়েছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে খেলতে নেমে স্কোরবোর্ডে ৮০ রান যোগ করতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য আনকোড়া দল নিয়েই খেলতে নেমেছে প্রোটিয়া বাহিনী। নিয়মিত বেশির ভাগ ক্রিকেটার না থাকায় ৬ জনের অভিষেক হয়েছে এই টেস্টে।