হাত-পা বেঁধে মাটিতে পুঁতে নির্যাতন, গ্রেফতার ৩
শনিবার বিকেলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তন্তর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে পুলিশ।
প্রথম নিউজ, শেরপুর: শেরপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নূর ইসলাম (৩৫) নামে একজনকে হাত-পা বেঁধে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল।
এর আগে শনিবার বিকেলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তন্তর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- প্রধান অভিযুক্ত আলিম উদ্দিন, তার স্ত্রী মনিরা বেগম ও ছেলে মুক্তার হোসেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ তন্তর গ্রামের বাসিন্দা আবু তাহের মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। তিনি মারা যাওয়ার পর তার ছোট ভাই আলিমদ্দিন জাল দলিল তৈরি করে জোরপূর্বক তার জমি দখল করে নেয়। পরে জমি নিয়ে বিরোধ বাধে তার ছেলে নূর ইসলামের সঙ্গে। পরে এ বিষয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হয়।
শনিবার (২৬ মার্চ) বিকেলে আলিমদ্দিন ও তার স্ত্রী-ছেলে নূর ইসলামের বাড়িতে যায়। প্রতিশোধ নিতে তারই বাড়ির আঙিনায় মাটি খুঁড়ে গর্ত করে। নূর ইসলামের দুই হাত পেছনে বেঁধে কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখে তারা। এ সময় নূর ইসলামের পরিবারের লোকজন চিৎকার করলেও স্থানীয়ভাবে আলিমদ্দিনের ভয়ে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। পরে খবর পেয়ে বিকেল ৪টায় নালিতাবাড়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নূর ইসলাম ও তার জামাই মফিজুলকে উদ্ধার করে।
নূর ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে চাচার সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলছিল। আমার চাচা আমাকে প্রায়ই মেরে ফেলার হুমকি দিত। সেই উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে এসে শনিবার বিকেলে আক্রমণ করেন। আমাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় মাটিতে পুঁতে হত্যাচেষ্টা করে। আমার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে না আসায় থানা পুলিশ এসে আমাকে ও আমার মেয়ের জামাইকে উদ্ধার করে।
নূর ইসলামের জামাই মফিজুল বলেন, শ্বশুরকে পুঁতে রাখা দেখে আমি তাকে বাঁচাতে যাই। এ সময় আমার ওপরও আলিমদ্দিনের লোকজন আক্রমণ করে। তারা আমাকে মেরে আহত করে। পরে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, এ ঘটনায় নূর ইসলামের স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় সাতজনকে আসামি করে শনিবার রাতে একটি মামলা করেন। এরপর আমরা অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছি।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews