সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ অভিযান

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ অভিযান
প্রথম নিউজ, অনলাইন: টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান গেট এলাকায় ভাসমান সব দোকান উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশন। রাজউকের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এবং ডিএমপির শাহবাগ থানা পুলিশের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আজ সকাল ১১টা থেকে এ অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এর আগে থেকেই তা শুরু হয় বলে জানা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভেকু মেশিন সব দোকানপাট গুড়িয়ে দেয় এবং অবশিষ্ট অংশগুলো এক এক করে ট্রাকের মধ্যে ফেলে। ব্যবসায়ীরা তাদের জিনিসপত্র যতটা সম্ভব সরিয়ে নিতে দেখা যায় তবে অনেকেই তারা তাদের জিনিসপত্র সরানোর সময় পাননি। অভিযানে বিপুল সংখ্যক আনসার সদস্য, পুলিশ এবং উৎসুক জনতার উপস্থিতি দেখঅ যায়। অভিযানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট ম্যানেজার বলেন, আমরা দ্রুতই সব সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছি এবং আশা করছি এ উদ্যোগ গুলোর মাধ্যমে এখানে মাদকের যে আখড়া তা নির্মূল করা যাবে।
অবশ্য এমন অভিযান পরিচালনা করার কথা আগেই জানানো হয়েছিল সরকারের পক্ষ থেকে। সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর ঢাবি প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে সভা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তিনি তার ফেসবুক পোস্টে সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে জানান-
১. রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে।
২. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ডিএমপি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালিত হবে।
৩. নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
৪. উদ্যানে পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।
৫. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে।
৬. উদ্যানে রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে।
৭. রাত ৮টার পর উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।
অবিলম্বে এসকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।