দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ
আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আজ রবিবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শনিবার (১৯ মার্চ) সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ সিএমএইচ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ওইদিনে বেলা ৩টার দিকে কেন্দুয়ায় সাহাবুদ্দীনের মরদেহবাহী হেলিকপ্টার হেলিপ্যাডে অবতরণ করে তার মরদেহ কেন্দুয়া থেকে গাড়িতে করে সড়কপথে নেওয়া হয় তার জন্মস্থান পেমই গ্রামে।
সেখানে তার প্রথম নামাজে জানাজা বিকেল ৫টার দিকে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় তার নিজ গ্রাম পেময়ীতে (পেমই) অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মরদেহবাহী হেলিকপ্টারটি ফের ঢাকার উদ্দেশে চলে আসে।
দ্বিতীয় রবিবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম আবু সালেহ মো. সলিমউল্লাহ। সাবেক রাষ্ট্রপতির নামাজে জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র আইনজীবীরাসহ হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এরপর জানাজা শেষে সাহাবুদ্দীন আহমদের মরদেহ ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে বনানী বেসামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গতকাল সাবেক এই প্রধান বিচারপতির মৃত্যুর খবর জানান তার জামাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহাদুজ্জামান। অধ্যাপক আহাদুজ্জামান বলেন, শনিবার সকালে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সাহাবুদ্দীন আহমদের দুই ছেলে গুলশানের বাসায় বাবার সঙ্গেই থাকেন। তার দুই মেয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, সাহাবুদ্দীন আহমদ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৯ মার্চ) সকালে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। নব্বইয়ের গণআন্দোলনের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রে ফেরার প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী সাহাবুদ্দীন পরে ১৯৯৬ সালে পুনরায় রাষ্ট্রপ্রধানের পদে ফিরেছিলেন।
২০০১ সালে বঙ্গভবন থেকে বিদায় নেওয়ার পর ঢাকার গুলশানের বাড়িতে অনেকটা নিভৃত জীবন-যাপন করছিলেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধ্যক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মাসখানেক আগে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সাহাবুদ্দিন আহমদকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে ২০১৮ সালে ৮০ বছর বয়সে মারা যান সাহাবুদ্দিন আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা আহমদ। তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার বড় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews