সরকারি বাহিনীকে যারা নরহত্যার নির্দেশ দিয়েছে তাদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা উচিত: হাফিজ
২০২২ সাল হবে ঘটনাবহুল

প্রথম নিউজ, ঢাকা: চলতি বছর ঘটনাবহুল হবে উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে ২০২২ সালে আপনারা অনেক কিছু দেখতে পাবেন। এই নিষেধাজ্ঞা যেটা হয়েছে তা মাত্র শুরু। আরো অনেক ঘটনা বাকি আছে, এই সাল হবে ঝঞ্জা বিক্ষুব্ধ, আরেকটা মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হতে পারে। সেখানে সর্ব শ্রেণির মানুষের অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, আলেম ওলামা, সাংবাদিক ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজবন্দীর মুক্তি দাও শীর্ষক এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বক্তৃতা, বিবৃতি অনেক হয়েছে এখন আর এসবের সময় নেই উল্ল্যেখ করে হাফিজ বলেন, মাঠে নামার প্রস্তুতি নেন যে আন্দোলনে আলেমরাও থাকবে আমরাও থাকবো, জিন্সের প্যান্ট ও থাকবে, পাঞ্জাবি ও থাকবে। আর সেটি হবে গণ আন্দোলন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কখনো নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হননি। তার এই জনপ্রিয়তার কারণেই তাকে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। যে টাকা খরচই হয়নি, উলটো বেড়েছে তার জন্য তাকে দিনের পর দিন জেলে রাখা হচ্ছে। এ অবস্থা আর কতদিন চলবে, এরও অবসান হবে। জেলে বন্দী আলেম ওলামাদের মুক্তি চেয়ে তিনি বলেন, তারা একজন হিন্দুত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় তারা দীর্ঘদিন জেলে পচে মরবে সেটাতো হওয়া উচিত না। তার এছাড়া কোনো দোষ নেই।
সরকার পশ্চিমা দেশগুলোকে দেখাতে চায় দাড়ি টুপি ওয়ালা লোকেরাই এরা ওয়ান ইলিভেন করেছে, এরাই হবে জঙ্গি, এরাই গণতন্ত্রের শত্রু, জনগণের শত্রু , তারা এসব দেখানোর জন্যই নীরিহ মানুষগুলোকে জেলে রেখেছে। তারা ইসলামফোবিয়েকে কাজে লাগিয়ে এ কাজ করতে চায়।
সার্চ কমিটি শেখ হাসিনার বেনিটি বেগে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সার্চ কমিটির নামে যা হচ্ছে এসব নাটক। তিন বছর আগেই শেখ হাসিনা সার্চ কমিটি করে রেখেছেন। কারা সার্চ কমিটিতে আসবে আর কারা নির্বাচন কমিশনার হবেন তা শেখ হাসিনার ভ্যানিটি ব্যাগেই আছে। তিনি আরও বলেন, নিশেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে কিছু দানবের বিরুদ্ধে যারা নরহত্যার সাথে জড়িত ছিল। কিন্তু যারা এই নরহত্যার নির্দেশ দিয়েছে তাদেরকে তো এখনো নিশেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। যারা এই সরকারি বাহিনীকে এসব কাজে যুক্ত করে তাদেরও এই নিশেধাজ্ঞার আওতায় আনা উচিত৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সকল আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা রয়েছে। যখন ২০ ফেব্রুয়ারিতে সকল দল মিছিল করা যাবেনা বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে নেমে বুকের রক্ত দিয়েছিল। তারা সেদিন রক্ত দিয়ে ভাষার দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। এরকম ৭১ সালেও যারা বড় বড় বক্তব্য দিয়েছিলেন তাদেরকে যুদ্ধের সময় জনগনের প্রয়োজনে পাওয়া যায়নি। তখন গ্রামে গঞ্জের সাধারণ মানুষ সেদিন রাজপথে নেমেছিল।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: