স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসতে হবে

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসতে হবে

প্রথম নিউজ, ঢাকা : স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীদের সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে এবং সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার (১৩ মে) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে সংগঠনটির ৬১তম সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসে তখন আমাদের প্রতিপাদ্য ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ। অর্থাৎ কানেক্টিভিটি এবং কমিউনিকেশন উন্নত করা। এখনো আসছে স্মার্ট বাংলাদেশ। জ্ঞানভিত্তিক এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক সমাজ বির্নিমাণে আমরা প্রস্তুত আছে কি না সেটি আমাদের ভাবতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা স্মার্ট প্রিপেইড মিটার চালু করেছি। এখন কোন এলাকায় কখন কী পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে এই মিটার তার তথ্য দিচ্ছে। সেগুলো সার্ভারে জমা আছে। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স দিয়ে খুব সহজে বের করা সম্ভব কোন এলাকায় কখন কী পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এটাই স্মার্ট পাওয়ার সিস্টেম। আমাদের এই জায়গায় এগিয়ে যেতে হবে। ব্যাঙের মতো লাফ দিতে হবে। আমরা এখনো হাটি হাটি পা পা করে এগোচ্ছি। এখানে মূল ভূমিকা শক্তি কিন্তু আপনারা (প্রকৌশলী)৷

প্রতিমন্ত্রী এসময় উপস্থিত প্রকৌশলীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যারা আছেন আমার বয়সী বা আমার আগে পাস করে এসেছেন, টেকনোলজি ফ্রেন্ডলি না, আমাদের স্টাডি এবং লার্নিং দরকার। ২০২৬ সালে আমাদের দেশ মধ্যম আয়ের দেশের দিকে যাবে। ধনী হলে একটা বিরম্বনা আছে, অর্থ দিতে অনেক এজেন্সি হাত গুটিয়ে ফেলবে। এখন যত সহজে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিপির লোন পাচ্ছি তখন পাওয়া যাবে না। কম্পিটিটিভ মার্কেট চলে আসবে।

তিনি বলেন, গ্লোবাল সিনারিও চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। পুরো পৃথিবী এখন সাসটেইনিবিলিটির দিকে চিন্তা করছে। গ্রিন এনার্জির কথা চিন্তা করছে। জলবায়ুর কথা চিন্তা করছে। ফসিল ফুয়েলে এখন আর কেউ ইনভেস্ট করতে চায় না। গ্যাস, কয়লা এগুলো ফসিল ফুয়েল। ট্রানজেকশনের কথা বলা হচ্ছে। আমরা কত দ্রুত এ ট্রানজেকশনের দিকে যাবো কি যাব না সে বিষয়ে চিন্তা করতে হবে।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, যদি আমি টেকনোলজি ইনভলভ চিন্তা করি, স্মার্ট বাংলাদেশে কী ধরনের টেকনোলজি আসবে, সেসব জায়গায় ইঞ্জিনিয়ারদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করার আছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি মো. আবদুস সবুর, সাধারণ সম্পাদক এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জুসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।