সফররত সেনাপ্রধানকে নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি
সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন আহমেদ ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার, ভাইস চিফ অফ এয়ার স্টাফ এয়ার মার্শাল এপি সিং, প্রতিরক্ষা সচিব ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। এ নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সফররত বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে সাউথ ব্লক লনে গার্ড অব অনার দেয়া হয়েছে। এসময় সেনাপ্রধান শফিউদ্দিন আহমেদ ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার, ভাইস চিফ অফ এয়ার স্টাফ এয়ার মার্শাল এপি সিং, প্রতিরক্ষা সচিব ও পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
ভারতে বৈঠক শেষে ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স প্রোডাকশন (ডিডিপি) ও আর্মি ডিজাইন ব্যুরো ভারতীয় দেশীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন ইকো-সিস্টেম সম্পর্কেও বাংলাদেশের সেনাপ্রধানকে বিস্তারিত ধারণা দেয়। বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের এ সফরে উভয় দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতার জন্য সেন্টার ফর ইউনাইটেড নেশনস পিসকিপিং (সিইউএনপিকে), ভারত এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস সাপোর্ট অপারেশনস ট্রেনিং (বিপসট)-এর মধ্যে একটি ‘বাস্তবায়ন ব্যবস্থা’ও স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ভারতীয় বিমান বাহিনীর ওয়ার মেমোরিয়াল এ পুষ্পর্ঘ্য প্রদান করেন। এছাড়া জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা ফোর্স এ ভারত ও বাংলাদেশের আরও সক্রিয় যোগদান নিয়েও আলোচনা হয়। জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ শনিবার চেন্নাইয়ের অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমিতে পাসিং আউট প্যারেডের পর্যালোচনাকারী কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে তিনি অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমি জাদুঘর পরিদর্শন এবং পাসিং আউট কোর্সের ক্যাডেটদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ তিনদিনের সফরে ভারত যান। ভারতের সেনাপ্রধানের আমন্ত্রণে এ সফর শেষে আগামী ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ সেনা পর্যায়ে সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্বরণে প্রতিবছর ডিসেম্বরে ঢাকায় ও কলকাতায় মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় প্রবীণ সেনাদের সমাবেশ হয়।