সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ১৪ বছর পর সেমিফাইনালের হাতছানি

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ১৪ বছর পর সেমিফাইনালের হাতছানি

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ২০০৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ সর্বশেষ সেমিফাইনালে খেলেছিল। এর পর কেটে গেছে ১৪ বছর। এক যুগেরও বেশি এই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে পাঁচ পাঁচটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ।

এর মধ্যে ২০২১ সালে মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আসরে দল পাঁচটি ছিল বলে খেলা হয়েছে লিগ ভিত্তিতে। সেমিফাইনাল ছিল না। শীর্ষ দুই দল ফাইনাল খেলেছে। ৫ দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল চারে।


বাকি চার আসরে বাংলাদেশ বিদায় নিয়েছিল গ্রুপপর্ব থেকেই। দীর্ঘ ১৪ বছর পর বাংলাদেশের সামনে সেমিফাইনাল খেলার হাতছানি।

আজ (বুধবার) ভারতের বেঙ্গালুরুতে 'বি' গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে ভুটানের বিপক্ষে। ম্যাচটি শুরু হবে রাত ৮টায়। এ ম্যাচ জিতলে বা ড্র করলেই লক্ষ্য পূরণ হতে পারে। তবে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণটা কি দাঁড়ায়, তা নির্ভর করছে বিকেলে অনুষ্ঠিত লেবান ও মালদ্বীপের ম্যাচের ফলাফলের ওপর।সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয় ছিল ২০০৩ সালে। ঢাকায় সেবার বাংলাদেশ ধরেছিল সোনার হরিণ। প্রথমবারের মতো জিতেছিল দক্ষিণ এশিয়ার এই ট্রফি। ফাইনালে বাংলাদেশ টাইব্রেকারে হারিয়েছিল মালদ্বীপকে।

পরের আসর ২০০৫ সালে পাকিস্তানের করাচিতে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলেছিল। হেরেছিল ভারতের কাছে। তারপর থেকেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বাংলাদেশের জন্য আক্ষেপের এক টুর্নামেন্টে পরিণত হয়। এর পর হওয়া ৭ আসরে বাংলাদেশ মাত্র একবার গ্রুপ পর্ব টপকাতে পেরেছে।

২০১৬ সালে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে-অফ ম্যাচের ফিরতি লেগে ভুটানের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। দুই দেশের ১৩ বারের সাক্ষাতে সেটাই পাহাড়ি দেশটির কাছে বাংলাদেশের প্রথম হার। ধারে, ভারে এবং ঐতিহ্যে বাংলাদেশের ফুটবল অনেক এগিয়ে ভুটানের চেয়ে। তাই আজ ফেবারিট দল হিসেবেই 'বি' গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ।


তবে খেলা যখন ফুটবল, তখন অতীত আর পরিসংখ্যান কাজে নাও আসতে পারে। জিততে হলে ভালো খেলতে হবে। বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে প্রথম দুই ম্যাচে লেবানন ও মালদ্বীপের বিপক্ষে যে ফুটবল খেলেছে সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেই ভুটানকে সহজে হারিয়ে দিতে পারবে বলেই মনে করছেন সবাই।