সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সন্ধ্যায় মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ সন্ধ্যায় মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ভারতের মাটিতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৪তম আসরের পর্দা উঠছে আজ (২১ জুন)। দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপখ্যাত এই টুর্নামেন্টটি কুয়েত-নেপাল ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন হবে। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুখোমুখি হবে রাজনৈতিকভাবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তান। খেলা ছাপিয়ে দেশ দুটির মধ্যকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বই বারবার ওঠে আসছে। তবে ম্যাচটির ভেন্যু ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামের টিকিট অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।

যদিও ম্যাচ শুরুর আগে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কায় ছিল পাকিস্তান ফুটবল দলের। সব জল্পনা কাটিয়ে গতকাল (২০ জুন) মরিশাসের ভারতীয় দূতাবাস থেকে তারা ভিসা পায়। এরপর রাত দেড়টা নাগাদ মুম্বাইয়ে পৌঁছায় পাকিস্তান। সেখান থেকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে তাদের বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার কথা রয়েছে।


কোনো সন্দেহ নেই যে এবারের সাফে অন্যতম ফেবারিট ভারত। তাদেরকে হারাতে পাকিস্তান ফুটবল দল মরিশাস গিয়েছিল। চার জাতি টুর্নামেন্টে তিন মাচ খেলে তিনটিতেই হেরেছে তারা। সেখানে দলটি মাত্র একটি ম্যাচে গোল করেছে। একটি গোলই টুর্নামেন্ট হতে প্রাপ্তি মনে করলেও পাকিস্তান ভাবছে অন্য কথা। সাফে নামার আগে ভালো প্রস্তুতি দরকার ছিল। কারণ অনেকদিন ধরেই ফিফার নিষেধাজ্ঞায় ছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে বেরিয়ে আবার নতুন পথে হাঁটতে শুরু করেছে।

র‍্যাংকিংয়ের বিচারে স্বাগতিক ভারতের চেয়ে বেশ পিছিয়ে পাকিস্তান। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ভারতের অবস্থান যেখানে ৯৪, সেখানে পাকিস্তানের অবস্থান ১৯৫তম স্থানে। শুধু র‍্যাংকিংয়েই নয়, দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়েও বেশ এগিয়ে ভারত। দু’দলের মধ্যকার শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই ভারত জিতেছে। আর এই দুই দলের ২৬ দেখায় ১৩ জয় ম্যান ইন ব্লুদের। বিপরীতে পাকিস্তান জয় পেয়েছে মাত্র ৩ ম্যাচে।

ভুবনেশ্বরে লেবাননকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়ে ভারত একেবারে তরতাজা। চ্যাম্পিয়ন হওয়া সুনীল ছেত্রীরা ১ কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। উজ্জীবিত হয়ে নতুন ৯ নম্বর ট্রফির জন্য মাঠে নামবেন তারা। তবে পাকিস্তান এখনও সাফ ট্রফি স্পর্শ করতে পারেনি। টুর্নামেন্টটিতে তাদের সবচেয়ে বড় অর্জন সেমিফাইনাল খেলে তৃতীয় অবস্থান।


এদিকে আগের ১৩ আসরের মধ্যে সর্বাধিক আটবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। তবে একবারও চ্যাম্পিয়ন হয়নি পাকিস্তান। দুবার চ্যাম্পিয়ন মালদ্বীপ। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।