সেপ্টেম্বরে দেশে ১ হাজার ৫৭৭ অগ্নিকাণ্ড, বেড়েছে ঢাকায়

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেল থেকে মো. তালহা বিন জসিম মাসিক পরিসংখ্যানের এ তথ্য জানান।

সেপ্টেম্বরে দেশে ১ হাজার ৫৭৭ অগ্নিকাণ্ড, বেড়েছে ঢাকায়

প্রথম নিউজ, ঢাকা: চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে এক হাজার ৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে ১১ জন আহত ও চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার দুই সিটিতে ১৫৫টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগস্ট মাসের তুলনায় বেড়েছে ২৭টি।  
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেল থেকে মো. তালহা বিন জসিম মাসিক পরিসংখ্যানের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সেপ্টেম্বরে ঢাকা বিভাগে ৬০৩টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৯টি, রাজশাহী বিভাগে ২২৫টি, খুলনা বিভাগে ১৩২টি, সিলেট বিভাগে ৫৭টি, বরিশাল বিভাগে ৬০টি ও রংপুর বিভাগে ২৪৮টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।  

মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগস্ট মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশে অগ্নিকাণ্ড কমেছে। আগস্ট মাসে এক হাজার ৬৬৭টি আগুনের ঘটনা ঘটে।  

সেপ্টেম্বরে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৫৫টি আগুনের ঘটনায় সাতজন আহত হন, কেউ নিহত হননি। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, তেজগাঁও, বারিধারা, উত্তরা এলাকায় অগ্নিকাণ্ড বেশি ঘটেছে। এর মধ্যে মিরপুর, মোহাম্মদপুর, বারিধারা এলাকায় সেপ্টেম্বর মাসে ১৬টি করে আগুনের ঘটনা ঘটে।  

পরিসংখ্যানে আরও জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে ৭৮৭টি বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। এতে ৭৭৭ জন আহত ও ১৮৪ জন নিহত হন, যার মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫৯০টি। এ ছাড়া রান্নাঘরে গ্যাসজনিত ১০টি, গ্যাসলাইনে ত্রুটিজনিত ১৩টি, লিফট ১৫টি, বজ্রপাত ১৯টি, নদীসহ অন্যান্য জলাশয়ে ডুবে যাওয়ার ১১৫টি দুর্ঘটনা ঘটে। সারা দেশে নদী, পুকুর বা পানিতে ডুবে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়।  

শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৯টি বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হন। মিরপুর, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, পুরান ঢাকায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটেছে। ঢাকা বিভাগে ১৫৯টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৫টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০২টি, রাজশাহী বিভাগে ২০১, খুলনা বিভাগে ৮৮, সিলেট বিভাগে ২৭টি, বরিশাল বিভাগে ৪১টি ও রংপুর বিভাগে ১১৪টি দুর্ঘটনা ঘটে।  

ফায়ার সার্ভিস থেকে আরও জানানো হয়, সেপ্টেম্বর মাসে সারা দেশ থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স আগুন ও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় চার হাজার ৩৫৪টি কলের মাধ্যমে সেবা দেয়। এ ছাড়া এক হাজার ১৫২টি কলের মাধ্যমে এক হাজার ৯৮ রোগী পরিবহনে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেয়।