প্রথম নিউজ, নোয়াখালী : নোয়াখালীতে দুদকের দায়ের করা মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা, জালিয়াতি ও টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী ফেনী শাখার তিন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ধারায় ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসাথে আসামীদের ৮১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশও দেয়া হয়। সোমবার বিকেলে জেলা আদালতের বিশেষ জজ (জেলা জজ) এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন, সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী শাখার ম্যানেজার মো: রহিম উল্যাহ খন্দকার, শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো: আবুল কালাম ও সহকারী অফিসার মো: মিজানুর রহমান। দুদকের করা দুর্নীতি মামলায় আদালত প্রত্যেকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রতারণার দায়ে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সাব রেজিস্ট্রার মতিগঞ্জ, সোনাগাজীর দলিল রেজিস্ট্রিতে ব্যবহৃত ও সরকারি খাতে জমার জন্য সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ২০-২৫টি বান্ডিল একত্রে চালানে পে-অর্ডার নম্বর, টাকা ও তারিখ উল্লেখ করে ব্যাংকে জমা দেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজন জমাকৃত ১৯ লাখ ৩৬ হাজার ১৬৫ টাকার ১৬৬টি পে-অর্ডার সরিয়ে রেখে পরবর্তীতে নগদে উত্তোলন, পে-অর্ডারের টাকার অংক বাড়িয়ে নগদে উত্তোলন ও সরকারি খাতে জমার জন্য চালানের সাথে ফেরত আসা পে-অর্ডার গায়েব করে নিজেরা গ্রাহকের ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। পরে এ ঘটনায় দুদক নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম সরকার ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান দুদক নোয়াখালীর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো: মশিউর রহমান। দুদকের পিপি মো: আবুল কাশেম জানান, রেজিস্ট্রি অফিসের পে-অর্ডারের সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত চারটি ধারায় ৩১ বছরের কারাদণ্ড ও ৮১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: