সাদমানের আত্মাহুতি ও জয়ের জীবনপ্রাপ্তির পর বাংলাদেশ ৫৭/১

সাদমানের আত্মাহুতি ও জয়ের জীবনপ্রাপ্তির পর বাংলাদেশ ৫৭/১

প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: ৮২ রানে বোঝা নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করা প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়ের। সেই সঙ্গে ছিল প্রথম ইনিংসে ব্যর্থতা পুষিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ। কিন্তু হলো উল্টো। ব্লেসিং মুজারাবানির সাদামাটা এক বলেই আত্মাহুতি দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন সাদমান। দলের রান তখন ১৩, আর তার নিজের ৪। নিজের ৬ রানে জয়ের ব্যাটের কিনারাও খুঁজে পেয়েছিলেন মুজারাবানি। কপাল ভালো, সহজ ক্যাচটি মায়াভো গ্লাভসবন্দি করতে না পারায় জীবন পান জয়।

আর তাতে বাকি সময়টুকু ঠিকমতোই পার করেন মুমিনুল হকের সঙ্গে। দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ৫৭ রান নিয়ে সাজঘরে ফিরেছে বাংলাদেশ। সফরকারীদের চেয়ে এখনো ২৫ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের ১৯১ রানের জবাবে ২৭৩ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি মেহেদী হাসান মিরাজের পাঁচ উইকেট। আর শেষ বেলায় একটির বেশি উইকেট না হারানো।

প্রথম ইনিংসে সাদমান করেছিলেন ২৩ বলে ১২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ বলের বেশি ক্রিজে থাকতে পারেননি সাদমান। মুজারাবানির সোজা বলেই ব্যাট-পায়ের ভারসাম্য রাখতে না পেরে ক্যাচ পাঠান দ্বিতীয় স্লিপে থাকা শন উইলিয়ামসের হাতে। ওখানেই থামেননি মুজারাবানি। পরের ওভারের প্রথম বলেই দুর্দান্ত আউটসুইংয়ের সঙ্গে হালকা লাফিয়ে ওঠা বলে জয়ের ব্যাটের কিনারা পেয়েছিলেন। তার কপাল মন্দ, দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা উইকেট কিপার নেয়াশি মায়াভো সহজ ক্যাচটি লুফে নিতে ব্যর্থ হন। না হলে ১৯ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারাতে হতো বাংলাদেশকে।

দিনশেষে ৪২ বলে ২৮ রানে অপরাজিত আছেন জয়। তার সঙ্গী মুমিনুল ২৬ বল খেলে করেছেন ১৫ রান। দুজনের জুটি দাঁড়িয়েছে ৪৪ রানের। কাল তৃতীয় দিনে এখান থেকেই ফের শুরু করবেন এ দুই ব্যাটসম্যান।