সাকিব-হাথুরু জুটির প্রশংসা মাশরাফির, বললেন দলটাকে সময় দিতে
দলের সাথে না থাকলেও দলের জয়ে বড় খুশি মাশরাফী বিন মর্তুজা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের এমন সিরিজ জয় হৃদয় ছুঁয়েছে সাবেক এই টাইগার অধিনায়কের।
প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: দলের সাথে না থাকলেও দলের জয়ে বড় খুশি মাশরাফী বিন মর্তুজা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের এমন সিরিজ জয় হৃদয় ছুঁয়েছে সাবেক এই টাইগার অধিনায়কের। উত্তরসূরীদের এই জয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে মাশরাফি নতুন রূপে গড়ে উঠা এই দলটাকে পর্যাপ্ত সময় দেয়ার ব্যাপারেও আশা ব্যক্ত করেন। এক ম্যাচ হাতে রেখেই রোববার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। পরপর দুই ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে জয় তুলে নেয় টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে আধিপত্য ধরে রেখে জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচ কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তবে শান্ত-মিরাজের ৪১ রানের জুটি দূর করে দেয় সব চাপ। এর আগে বল হাতেও ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন মিরাজ।
ফলে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবার ইংল্যান্ড। দেশের মাঠে বড় তিনটি দলকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারাল বাংলাদেশ। শান্ত ইউ বিউটি ম্যান, মিরাজ অসাধারণ, পুরো বোলিং ইউনিট দারুণ। অভিনন্দন বাংলাদেশ।’ এই সময় বাংলাদেশের দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানেরও প্রশংসা করেন মাশরাফি। টি-টোয়েন্টি দলটাকে ঢেলে সাজানো সময়ের প্রয়োজন ছিল দাবি করে মাশরাফি বলেন, ‘তরুণদের নিয়ে যেভাবে দলটা গড়া হয়েছে, এক কথায় অসাধারণ। টি-টোয়েন্টি দলকে ঢেলে সাজানো দরকার ছিল। হাথুরুসিংহে ও সাকিব দারুণভাবে সেই কাজ করেছে।’
২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে ছিলেন মাশরাফি, তার অধীনে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু হয়, সেই সাথে অন্য ফরম্যাটগুলোতেও আত্মবিশ্বাস খুঁজে পায়। তার অধীনে ২৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১০টিতে জয় পায় বাংলাদেশ, যদিও তাকে ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব।
তবে তা নিয়ে ভাবছেন না মাশরাফি, তার ভাবনা জুড়ে এখন এই দলটা। এই দলটার খারপ সময়েও পাশে থাকার দাবি জানিয়ে ম্যাশ বলেন, ‘এই দলটারও কঠিন সময় আসবে। কিন্তু সবার ধৈর্য রাখা জরুরি। তরুণদের এই সংস্করণে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে। এর মধ্য দিয়েই ধীরে ধীরে দারুণ একটা দল হবে ইনশাআল্লাহ। অনেক দেরিতে হলেও টি-টোয়েন্টিতে এই পরিবর্তটা খুব জরুরি ছিল।’