শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: মরদেহের আশায় ছোটাছুটি করছেন স্বজনরা
এখন পর্যন্ত ৭ মরদেহ উদ্ধার, ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ১৭ জন।
প্রথম নিউজ, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর আল আমিন নগর এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবিতে আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্তারপুর শাহ সিমেন্ট ফ্যাক্টরির সামনে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে নিখোঁজদের জীবিত পাওয়ার আর আশা নেই। এখন শুধু মরদেহটি চান স্বজনরা। মরদেহের আশায় শীতলক্ষ্যাপাড়ে ছোটাছুটি করছেন তারা। কিন্তু কোথাও কোনো মরদেহের দেখা মিলছে না। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর আল আমিন নগর এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি সোমবার (২১ মার্চ) ভোর ৫টায় উদ্ধার হলেও ভেতরে কোনো মরদেহ পাননি স্বজনরা।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা জানান, একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। এর আগে ভোর ৫টায় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ডুবে যাওয়া লঞ্চটিকে নদীর তীরে টেনে তুললেও ভিতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ করছে।
এর আগে রোববার দুপুরে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় নারায়ণগঞ্জ টু মুন্সীগঞ্জগামী ‘আফসার উদ্দিন’ নামে লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ঘটনায় ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৬ জনের মধ্যে একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। অপর দুইজন নারী, একজন পুরুষ ও দুই শিশু। সেই সঙ্গে ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন ১৭ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম ভি আফসার উদ্দিন নামে মুন্সীগঞ্জগামী একটি লঞ্চটিকে এমভি রূপসী-৯ নামের কার্গো ধাক্কা দেয়। কার্গোটি ওই লঞ্চকে ঠেলে অনেক দূর নিয়ে যায়। এতে ওই লঞ্চটি মুহূর্তেই ডুবে যায়।
দুর্ঘটনার পর ধাক্কা দেওয়া কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ আটক করেছে নৌ পুলিশ। রোববার দুপুরে চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় এ দুর্ঘটনার পরই ওই কার্গোটি মুন্সিগঞ্জের হোসেন দি ডকইয়ার্ডে নোঙ্গর করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে কার্গোটি আটক করে।
নিখোঁজ আব্দুল্লাহ আল জাবেরের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমি আমার ছেলের মরদেহটি ফেরত চাই। জীবিত তো আর পাবো না। কর্তৃপক্ষের কাছের দাবি জানাই যেন উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা না হয়। নিখোঁজ ফাতেমার চাচা আক্তার হোসেন বলেন, লঞ্চটি উদ্ধার করা হলো কিন্তু আমার ভাতিজিকে পেলাম না। নিখোঁজ হাতেমের ছেলে সাগর বলেন, আমি আমার বাবার মরদেহ হলেও ফেরত চাই।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক তানহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। লঞ্চের ভেতরে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। আমাদের উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews