লুটের উৎসব সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ: মির্জা ফখরুল
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) উদ্যোগে ঐতিহাসিক ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষ্যে এই সভা হয়।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সব মানুষ মরিয়া হয়ে গেছে, পাগল হয়ে গেছে, লুট করে অতি দ্রুত সব সম্পদ নিয়ে এ দেশ ছেড়ে চলে যাবে। ঠিক যেভাবে বর্গিরা আমাদের দেশে আগে এসে সব সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত। আজকে আওয়ামী লীগ ঠিক একইভাবে সেই লুটের একটা আসর বসিয়েছে। লুটের একটা উৎসব সৃষ্টি করেছে। এই সরকার ঐতিহ্য, কৃষ্টি, ইতিহাস সব কিছুকে ধ্বংস করছে। সুতরাং আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) উদ্যোগে ঐতিহাসিক ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষ্যে এই সভা হয়। পতাকা উত্তোলন দিবসে বিএনপির পক্ষ থেকে আ স ম আবদুর রবকে অভিনন্দন জানান মির্জা ফখরুল। ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আরও বলেন, মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে না, কথা বলতে পারে না। যারা ভিন্নমত পোষণ করছে তাদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ অন্য সব আইনের মাধ্যমে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করে জনগণকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে, তাদের দমন করছে। শুধু তাই নয়, যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে যায়, কেউ সঠিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারছে না। তাদের সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এখন আর বসে থাকার সময় নেই। এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। সামনে পথ একটাই খোলা- আন্দোলন, আন্দোলন, আন্দোলন। দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে পরিহাস করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ চালের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। চাল-ডাল, তেল-লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। অথচ অবৈধ প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে হাওড়ে গিয়ে ২৪ পদের মাছ দিয়ে উৎসব করছেন।
জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, একজনে বাংলাদেশ অর্জন করেছেন। আর কারও কোনো অবদান নেই। তাহলে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিলেন কেন? ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারালেন কেন? দেশের সব ইতিহাসটাকে এক ব্যক্তি, এক দলের, এক পরিবারের, এক গোষ্ঠীর আওতাভুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ভোট ডাকাতি করে একটি সরকার ক্ষমতায় থাকা রাষ্ট্র একটা বিপজ্জনক অবস্থায় পড়েছে বলে মন্তব্য করেন আ স ম আব্দুর রব।
জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: