রেমিট্যান্সেও বাংলাদেশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ভিয়েতনাম
প্রবাসীরা গত বছর দেশটিতে এক হাজার ৭শ কোটি ডলারে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা ২০১৯ সালের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি। ভিএনএক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রথম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে বসবাসরত ভিয়েতনামের নাগরিকরা অর্থাৎ প্রবাসী ভিয়েতনামিরা চলতি বছর দেশটিতে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাতে যাচ্ছে। ২০২১ সালে দেশটিতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে এক হাজার ৮শ কোটি ডলারের বেশি। এর ফলে রেমিট্যান্স অর্জনের দিক থেকে বৈশ্বিকভাবে ভিয়েতনাম অষ্টম অবস্থানে উঠে আসবে।
প্রবাসীরা গত বছর দেশটিতে এক হাজার ৭শ কোটি ডলারে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা ২০১৯ সালের চেয়ে ৩ শতাংশ বেশি। ভিএনএক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বব্যাংক ও গ্লোবাল নলেজ পার্টনারশিপ অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (কেএনওএমএডি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছর ভিয়েতনামে রেমিট্যান্স পাঁচ শতাংশ বাড়তে যাচ্ছে। যা দেশটির জিডিপিতে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ অবদান রাখবে।
এর মানে হলো রেমিট্যান্স অর্জনে ভারত, চীন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, মিশর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের পরেই ভিয়েতনামের অবস্থান হবে। টানা অষ্টম বছর ভিয়েতনামে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির রেকর্ড করেছে। ফলে বাংলাদেশের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে দেশটি। ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় রেমিট্যান্স সুবিধাভোগী এলাকা হলো হো চি মিন সিটি। দেশটির মোট রেমিট্যান্সের ৩০ শতাংশই পাঠান ওই এলাকার প্রবাসীরা।
ভিয়েতকমব্যাংকের ডেপুটি পরিচালক ডাও মিন তুয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা হচ্ছে ভিয়েতনামের দুটি প্রধান রেমিট্যান্স বাজার। তাছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও তাইওয়ানের মতো এশীয় দেশগুলো থেকেও এ বছর প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্স আসছে।
বিশ্ব ব্যাংক ও কেএনওএমএডির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে এ বছর রেমিট্যান্সের পরিমাণ সাত দশমিক তিন শতাংশ বেড়ে ৫৮৯ বিলিয়ন হতে পারে। রেমিট্যান্স বাড়ার অন্যতম কারণ হলো প্রবাসীরা প্রয়োজনের সময় তাদের পরিবারকে সাহায্য করতে চায়। অন্যদিকে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে চায়।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: