রাজধানীতে করোনা হাসপাতালের ৭৫ শতাংশ শয্যাই খালি
প্রথম নিউজ, ঢাকা: দেশে কমে এসেছে করোনা সংক্রমণ। ফলে চাপ কমেছে রাজধানীর প্রায় অর্ধশতাধিক সরকারি-বেসরকারি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে। অথচ এর আগেও যেখানে করোনা রোগী ভর্তির জন্য স্বজনদের এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। সেখানে এখন দুর্ভোগ ছাড়াই রোগী ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে।
বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ শয্যার ৭৫ শতাংশ খালি রয়েছে। আর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) খালি রয়েছে ৭২ শতাংশ। পৃথক শয্যা হিসেবে খালি রয়েছে সরকারি হাসপাতালের ৫৫ শতাংশ এবং বেসরকারি হাসপাতালের ৮৬ শতাংশ আইসিইউ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সবশেষ ১৬ সেপ্টেম্বরের হেলথ বুলেটিনের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজধানীর ১৭টি সরকারি ও ৩১টি বেসরকারি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে পাঁচ হাজার ৫৪০টি সাধারণ শয্যা ও ৮৫৯টি আইসিইউ বেড রয়েছে। মোট সাধারণ শয্যার মধ্যে খালি রয়েছে বর্তমানে চার হাজার ১৫১টি। অপরদিকে ৮৫৯টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ৬২২টি খালি রয়েছে।
১৭টি সরকারি হাসপাতালে সাধারণ শয্যা রয়েছে তিন হাজার ৮৯০টি। এর মধ্যে খালি দুই হাজার ৮০৫টি। আর ৩৮২টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ২১১টি খালি রয়েছে।
অপরদিকে বেসরকারি ৩১টি হাসপাতালে এক হাজার ৬৫০টি সাধারণ শয্যা ও ৪৭৭টি আইসিইউ রয়েছে। বর্তমানে এসব হাসপাতালে সাধারণ শয্যা খালি রয়েছে এক হাজার ৩৪৬টি। আর ৬২২টি আইসিইউ বেড খালি রয়েছে।
উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের ২৬টি আইসিইউ শয্যার ১৬টি, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের ১৬টির মধ্যে ১১টি, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ছয়টির মধ্যে তিনটি, ৫০০ শয্যার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৫টির মধ্যে সাতটি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ শয্যার সাতটি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে আট শয্যার একটি, শ্যামলীর ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতালে চার শয্যার তিনটি, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ১০টির মধ্যে পাঁচটি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ শয্যার ১২টি এবং ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে ২১২টির মধ্যে ১৪৬টি শয্যা ফাঁকা রয়েছে।
তবে কুর্মিটোলা হাসপাতালের ১০টি শয্যার ১০টি, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০টি শয্যার ২০টিতেই রোগী রয়েছে। সরকারি করোনা হাসপাতালগুলোর মধ্যে সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট, জাতীয় নিউরোসায়েনন্স হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে সাধারণ শয্যায় রোগী ভর্তি করা হলেও সেখানে আইসিইউ নেই।