রোজা ও ঈদ উপলক্ষ্যে বেড়েছে রেমিট্যান্স
প্রতিবছরের মতো এবারও রোজা ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে
প্রথম নিউজ, ঢাকা : প্রতিবছরের মতো এবারও রোজা ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে।
এপ্রিলের প্রথম দুই সপ্তাহে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৯৬ কোটি ডলার। ঈদের বাড়তি খরচ মেটাতে প্রবাসীরা এখন বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। এছাড়া ফিতরা ও জাকাত বাবদও অর্থ পাঠাচ্ছেন দেশে। এসব কারণে রেড়েছে রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। বরাবরের মতো রেমিট্যান্স সংগ্রহে শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। এরপরই রয়েছে সিটি ব্যাংক, অগ্রণী, পূবালী ও সোনালী ব্যাংকের অবস্থান।
আলোচ্য সময়ে দেশের সরকারি খাতের ছয়টি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ৪২ লাখ ডলার। ব্যাংকগুলো হলো-সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বেসিক ও বিডিবিএল। এ ছাড়া বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৯ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।
মার্চে প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। যা ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২৯ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং গত বছরের মার্চের তুলনায় ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি ছিল। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত প্রবাসীরা ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৫২৯ কোটি ডলার। ব্যাংকাররা জানান, ঈদের পরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা কমতে পারে। কারণ ঈদের ছুটিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। এছাড়া ঈদের পর দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রয়োজনও কম অনুভব করবেন প্রবাসীরা। ফলে বাকি ১৬ দিনে রেমিট্যান্স কমে যেতে পারে। এতে মার্চের চেয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ কম হতে পারে। রেমিট্যান্স বাড়ার পেছনে ডলারের দামও ভূমিকা রাখছে। প্রায় সব ব্যাংকই এখন ১০৭ টাকা করে রেমিট্যান্স ডলার কিনছে। কয়েকটি ব্যাংক এরচেয়ে বেশি দামেও ডলার কিনছে। আমদানি ব্যয় মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার না পেয়ে তারা বেশি দামে ডলার কিনে সেগুলো দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটাচ্ছে। এদিকে রেমিট্যান্স বাড়লে ও আমদানি ব্যয় কমলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ১১৮ কোটি ডলার। বর্তমানে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে বলে ডলার সংকট কাটছে না। এছাড়া রপ্তানি আয় আবার নিুমুখী হয়েছে।