যুবদল নেতা খুন: আ.লীগের ১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
নিহতের স্ত্রী হাসি খাতুন বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
প্রথম নিউজ, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের সদরের সয়েদাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আলী আকবর খুনের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ১৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর নিহতের স্ত্রী হাসি খাতুন বাদী হয়ে বেলকুচি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মুলিবাড়ির বাসিন্দা মো. পথিক, সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুলিবাড়ির রিগেন তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মুলিবাড়ির স্বাধীন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বড় সারটিয়া গ্রামের মফিজ মোল্লা, ৭ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছা সেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চরসারটিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন, মুলবাড়ি গ্রামের যুবলীগকর্মী সুজন ও পার্শ্ববর্তী রাজাপুর ইউনিয়নের মাইঝাইল মুন্সিবাড়ির আব্দুল হাইয়ের ছেলে লিটন।
বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখ্য এবং অজ্ঞাতপরিচয়ে আরও ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে আলী আকবরকে খুন করা হয়েছে বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ্য করেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, তবে চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
পেশায় ইট ও বালু ব্যবসায়ী নিহত আলী আকবর (৪৩) সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তাবিত কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের বড় সারটিয়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। বুধবার সন্ধ্যার পর রান্ধুনীবাড়ি হাটখোলায় দুর্বৃত্তরা আলী আকবরকে খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এর আগে মাইঝাইল মুন্সিবাড়ির লিটন ব্যবসায়ীক আলোচনা করার জন্য মোবাইল করে আলী আকবরকে বাড়ি থেকে ঢেকে আনেন বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: