যত কালাকানুন আছে, সবই আওয়ামী লীগ করেছে - নজরুল ইসলাম খান
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, চুয়াত্তর সালে প্রথম সংবিধান সংশোধন করেছে আওয়ামী লীগ। যত কালাকানুন আছে, সবই আওয়ামী লীগ করেছে। তাদের সময়ই যশোরে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সমাবেশে হামলা হয়েছে। দেশের যত খারাপ কাজ হয়েছে সবই তাদের সময়ে হচ্ছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে তারা বাকশাল কায়েম করেছিল। ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় এসেছিল। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের নামে তারা প্রহসন করেছে। এভাবে গণতন্ত্রের হাত, পা ভেঙে দিয়ে বলছে তাদের হাতেই গণতন্ত্র নিরাপদ। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি। তিনি বলেন, বড় অদ্ভুত ব্যাপার বাংলাদেশে।
এখানে বলা হয় বাংলাদেশ নাকি খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন। অথচ খাদ্য আমদানি করতে হয়। বলা হয় বিদ্যুৎ নাকি ফেরি করে বিক্রি করা হবে। কিন্তু বাস্তবে কি অবস্থা? আর আমরা শুধু খাম্বা লাগিয়েছিলাম সেটাই দোষ! দলের নেতাকর্মী ও পেশাজীবীদের উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। যদি আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসি, যদি তারেক রহমানকে পাশে চাই এবং গণতন্ত্রকে চাই তাহলে আমাদের লড়তে হবে। এই ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয়ী হতে হবে। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ বিএনপি ও তারেক রহমানের হাত ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, সংগঠনের নেতা ডা. মজিবুর রহমান হাওলাদার, এডভোকেট দেওয়ান মাহফুজুর রহমান, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, আবুল কালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম শহীদ, মো. রবিউল ইসলাম, শহিদুল হক শহিদ। ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন অধ্যাপক ড. মঈনুল হক। এ ছাড়াও জিয়া পরিষদের নেতা অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, খান মো. মনোয়ারুল ইসলাম শিমুল, অধ্যাপক ড. আবু জাফর প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।