যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ: হিন্দুস্তান টাইমস
ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের সময় মোদি এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। মূলত বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক যে রূপ নিয়েছে তা নিয়েই সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন এ বিষয়ে ওয়াকিবহলরা। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগেই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে বাংলাদেশ। ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের সময় মোদি এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। হিন্দুস্তান টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয়, বারানসিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে গত ১২ই জুন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সাক্ষাতের সময় এ বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। সেখান থেকেই মূলত ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। ওয়াকিবহাল সূত্রের বরাত দিয়ে নয়াদিল্লিভিত্তিক গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতের কর্মকর্তাদের কাছে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে আহ্বান জানিয়ে আসছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গেও আলোচনা করেছেন তিনি। পিটার হাসের এ তৎপরতার জেরে কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে গত মাসে বাংলাদেশ নিয়ে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া কেউ বাধাগ্রস্ত করলে তাদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে বাংলাদেশ সরকার বিরক্ত হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্র বলছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনায় একটি মুক্ত ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের গুরুত্বের দিকে ইঙ্গিত করেছে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে চীনের দিকে ঠেলে দিতে পারে, এমন সম্ভাবনার ওপরও আলোকপাত করেছে তারা। যদিও বাংলাদেশের নেতারা প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বানকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সম্প্রতি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে ‘বিচলিত নয়’ সরকার। তবে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান থেকে বিরোধীরা ফায়দা নিক, তা চাইছে না বাংলাদেশ সরকার।