মার্টিনেজ লাল কার্ড দেখার যোগ্য, দাবি চেলসির
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসির মধ্যকার ম্যাচের ৯৩ মিনিটের খেলা চলছিল। এমন সময় চেলসি ফরোয়ার্ড কোল পালমারকে ভয়ডরহীন এক চ্যালেঞ্জ জানান ম্যানইউর ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার পা তোলেন পালমারের হাঁটুর উপরে। এতে ইংলিশ ফরোয়ার্ডের পায়ে আঘাত লাগে সরাসরি।
রেফারি রবার্ট জোনস তাৎক্ষণিকভাবে হলুদ কার্ড দেখান মার্টিনেজকে। এই ফাউলের পর বাক-বিতণ্ডায় জড়ান দুই দলের ফুটবলাররা। তর্কে জড়িয়ে সতর্কতামূলক কার্ড দেখেন আরও দুইজন, চেলসির নিকোলাস জ্যাকসন ও ম্যানইউর আমাদ দিয়ালো।
চেলসির ফুটবলারদের দাবি, মার্টিনেজ ইচ্ছেকৃতভাবে পালমারে পায়ে আঘাত করেছেন। আর্জেন্টাইন তারকা বল স্পর্শ করার মানসিকতা নিয়ে এই চ্যালেঞ্জ জানাননি।
ফুটবলারদের বাক-বিতণ্ডার মধ্যেই নিখুঁত সিদ্ধান্তের জন্য ভিএআরের সহযোগিতা নেন রেফারি। খুব কাছ থেকে চ্যালেঞ্জ পর্যবেক্ষণ করেন ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি। রিভিউ দেখে তিনি জানান, ‘মার্টিনেজের চ্যালেঞ্জ ভয়ডরহীন। তবে খুব সিরিয়াস ফাউল ছিল না।’
প্রাক্তন ইউনাইটেড অধিনায়ক রয় কিন ওই সময় স্কাই স্পোর্টসের একজন ধারাভাষ্যকার হিসাবে কাজ করছিলেন। মার্টিনেজের হলুদ কার্ডের সিদ্ধান্ত বহাল দেখে তিনি বলে উঠেন, ‘মার্টিনেজ ভাগ্যবান ছেলে। এটি একটি বাজে ট্যাকল।’
এ ঘটনা নিয়ে পরে কথা বলেন চেলসি কোচ এনজো মারেস্কা। তার দাবি, মার্টিনেজ লাল কার্ড দেখার মতো অপরাধ করেছেন। রেফারি সঠিক সিদ্ধান্ত দেননি। কারণ, মার্টিনেজ সরাসরি পায়ে আঘাত করেছে। সে বল স্পর্শ করেনি।
ম্যাচের পর চেলসি কোচ বলেন, ‘তারা (টিভি) সংবাদ সম্মেলনের আগে আমাকে (চ্যালেঞ্জ) দেখিয়েছিল। আমি মনে করি, এটি আমাদের সবার জন্য বেশ পরিষ্কার এবং তারা (ম্যাচের কর্মকর্তারা) একটি ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যখন বল খেলার কোনো ইচ্ছা থাকে না এবং আপনি শুধুমাত্র খেলোয়াড়কে আঘাত করতে যান, এটি লাল কার্ড হয়। তিনি (রেফারি) কিছুই বলেননি। কিন্তু আপনি যখন একজন খেলোয়াড় বা তার পায়ে আঘাত করতে যান, তখন সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমি মনে করি এটা লাল কার্ড (দেখার মতো অপরাধ)।’
এ বিষয়ে ম্যানইউর অর্ন্তবর্তী কোচ রুড ফন নিস্টেলরয় জানান, এটি লাল কার্ড দেখার মতো নয়। এবং তিনি ঘটনাটি পুরোপুরি দেখেননি। সিদ্ধান্ত জানাতে হলে তাকে আবার সেটি দেখতে হবে।
নিস্টেলরয় বলেন, ‘আমি এটা দেখিনি। আমি এটি টাচলাইনে দেখেছি এবং একে লাল কার্ড হিসাবে দেখিনি। তবে মতামত দেওয়ার জন্য আমাকে এটি আবার দেখতে হবে।’