মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে যে ৪ খাদ্যাভ্যাস
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : খাবার আমাদের শরীরে রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং প্রক্রিয়া ঘটাতে পারে যা মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে সরাসরি। আমেরিকান পুষ্টিবিদ কিটি ব্রোহিয়ার মনে করেন, উদ্বেগ ও স্ট্রেস থেকে মুক্তি পেতে চাইলে খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে সুস্থ থাকলে মনও থাকবে প্রফুল্ল। জেনে নিন মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কোন কোন খাদ্যাভ্যাস আয়ত্ত করে নেওয়া জরুরি।
১। ওজন কমানোর জন্য উদ্বিগ্ন হবেন না
সুস্থ থাকার জন্য বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলা জরুরি। তবে তাই বলে সবসময় ওজন কমানো নিয়েই চিন্তা করতে হবে এমন নয়। কেবল ওজন কমানোর দিকে মনোনিবেশ না করে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার উপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ কিটি ব্রোহিয়ার। দিনরাত কেবল ওজন ঝরানোর চিন্তা আমাদের নেতিবাচক মানসিকতায় ফেলে দেয় এবং স্ট্রেস বাড়ায়। বরং খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে সুস্থ থাকলে মনও থাকবে প্রফুল্ল।
২। বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি খান
ফল এবং শাকসবজি খান প্রতিদিন। ভালো ঘুম হওয়ার পাশাপাশি মন ভালো থাকবে। পিয়ার-রিভিউ জার্নাল নিউট্রিয়েন্টস-এর একটি গবেষণা বলছে, আমাদের সৃজনশীলতা,, উদ্বেগ, বিষণ্ণতার লক্ষণগুলোকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে তাজা ফল ও সবজি। ভিটামিন এবং খনিজের পাশাপাশি ফাইবার এবং পানির মতো পুষ্টি সরবরাহ করে বিভিন্ন ধরনের ফল ও শাকসবজি। উপাদানগুলো আমাদের শরীরের রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে।
৩। রঙিন খাবার খান
রঙিন খাবার মানে কিন্তু রঙ দেওয়া খাবার নয়! বরং গাঢ় রঙের সবজি যেমন ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি, পালং শাক, টমেটো, গাজরের মতো খাবার খান প্রতিদিন। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা অন্ত্র-মস্তিষ্কের অক্ষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অন্ত্র এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র পরস্পর সংযুক্ত থাকে।। গবেষণা দেখায গেছে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টের ব্যাঘাত অন্ত্র-মস্তিষ্কের সম্পর্ককে পরিবর্তন করতে পারে এবং এটি মেজাজ এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। পুষ্টিবিদ কিটি ব্রোহিয়ার জানান, অন্ত্র-মস্তিষ্কের সংযোগ একটি স্বাস্থ্যকর অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের উপর নির্ভর করে। রঙিন শাকসবজিতে বিভিন্ন ধরনের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে, যা আমাদের স্মৃতিশক্তি ও মন ভালো রাখে।
৪। খাদ্য তালিকায় মাছ অন্তর্ভুক্ত করুন
বিভিন্ন ধরনের ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি মাছ খান নিয়মিত। গবেষণা বলছে, নিয়মিত মাছ খাওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এটি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও কমাতে পারে। মাছে পাওয়া লিপিড এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড বিষণ্ণতার ঝুঁকি কমায়। হার্ভার্ড হেলথ প্রতি সপ্তাহে দুই থেকে তিন আউন্স ফ্যাটি মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। হতাশা এবং আলঝেইমার রোগের পাশাপাশি হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস করে মাছ।