মুগদায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
শনিবার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন (রোববার) সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
প্রথম নিউজ, ঢামেক প্রতিবেদক: রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে রুবেল (২৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি স্থানীয় একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন (রোববার) সকালে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশের ধারণা রুবেল ঋণের চাপে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত রুবেলের ছোট ভাই সুমন মিয়া বলেন, আমিও আমার ভাই পদ্মা টেলিকম নামে একটি দোকানে কাজ করি। আমার ভাই শনিবার রাত ৯টার দিকে ভাত খেতে বাসায় গিয়ে আর দোকানে ফেরেনি। পরে আমি বাসায় গিয়ে দরজা বন্ধ পেয়ে তাকে অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না পেলে দরজা ভেঙে বেতরে যাই। ভেতরে গিয়ে দেখি আমার ভাই ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠায়।
সুমন মিয়া বলেন, আমারা যে দোকানে কাজ করি ওই দোকান মালিক সাজেদুল ইসলাম কাজল গত কোরবানি ঈদের আগে আমার ভাইকে তার ক্যাশ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা চুরির অপবাদ দেয়। পরে তাকে আটকে রেখে আমাদের বাড়িতে খবর দেয়। আমার ভাই টাকা চুরি না করেও তাকে চুরির অপবাদ দেওয়ায় সে হতাশাগ্রস্ত ছিল। এ ঘটনায় আমার বাবা বাড়ি থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জোগাড় করে দোকান মালিককে দেয়। এর পর থেকে আমাদের দুই ভাইয়ের বেতন থেকে প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা করে কেটে রাখতো। সেই অভিমানে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও এই দোকানের একজন ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার সময় সময় তাকে ৪০ হাজার টাকা চুরির অপবাদ দিয়েছিল। আমার ভাইকে জুয়া খেলারও অপবাদ দিয়েছে, এগুলো আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এটি একটি সাজানো নাটক। নিহত রুবেলের বাড়ি নরসিংদী জেলার বেলাব থানায়। তার বাবার নাম মো. মুক্তার মিয়া।
মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এনামুল করিম বলেন, শনিবার রাতে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে রুবেলের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। জুয়া খেলার কারণে ঋণগ্রস্ত হওয়ায় এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।