ভারতের কারণেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে: মান্না
প্রথম নিউজ, ঢাকা : ভারতের কারণেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। এই গণতন্ত্র আমাদেরকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। অন্য কেউ আমাদের গণতন্ত্র এনে দেবে না।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মান্না বলেন, ভারতের নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক বাংলাদেশে তাদের আগ্রাসনের কোন তারতম্য হবে না। তবে ভারতের নির্বাচনে মোদী ম্যাজিক সে দেশের জনগণ বয়কট করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্র বন্ধ হয়ে গেছে এটা আমাদেরকেই উন্মুক্ত করতে হবে, ভারত এটা করে দেবে না। বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যার একমাত্র কারণ ভারত।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ডাকে দেশের জনগণ আন্দোলন করেছে, নির্বাচন বয়কট করেছে কিন্তু স্বৈরশাসক তো ক্ষমতা থেকে গেলো না। তাহলে আমরা কি ব্যর্থ হয়েছি। বাংলাদেশে বর্তমান সরকার দেশের প্রতিটা খাত চুরি করে খেয়ে ফেলেছে। সরকার অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে । দেশ গোল্লায় গেলেও এদের কিছু যায় আসে না। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে অটল। এই সরকারের সঙ্গে আপোষ করার কোন সুযোগ নাই।
মান্না বলেন, গত নির্বাচনে দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ এই সরকারকে ভোট দেইনি। ৯৫ ভাগ জনগণ এই সরকারকে ঘৃণা করে। গতকাল উপজেলা নির্বাচনও দেশের জনগণ বয়কট করেছে। সরকার পতনের আন্দোলন করতে হলে দমে গেলে হবে না। দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যায় কিন্তু বাংলাদেশের ভোটাররা ভোট কেন্দ্রেও যায় না সেই দিক থেকে পাকিস্তান আমাদের থেকে ভালো আছে।
তিনি বলেন, ভারত আজ বাংলাদেশকে দাসে পরিণত করেছে। সীমান্তে আমাদের দেশের জনগণকে যখন হত্যা করা হয় তখন আমাদের দেশের মন্ত্রী এমপিরা বলে এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তাহলে এই সরকারের অধীনে দেশের লোক কিভাবে নিরাপদে থাকবে। বিএনপি, জামাতের সঙ্গে যারা রাজনীতি করে তাদেরকে বলা হয় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। ভারতের কাছে আনুগত্য প্রকাশ করার জন্য আওয়ামী লীগ এই অপবাদ ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, দিল্লি বাংলাদেশে প্রতিবার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য কাজ করে। বাংলাদেশের প্রতিটি জায়গা আজ ভারতের দালালে ভরে গেছে।
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অহিদুজ্জামান দিপু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) এর সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আসাদুর রহমান ফুয়াদ, মুক্তিযোদ্ধাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।