‘ভারত’ সিনেমায় অভিনয় করতে প্রিয়াঙ্কা হাজারবার ফোন করেছিলেন : সালমান

‘ভারত’ সিনেমায় অভিনয় করতে প্রিয়াঙ্কা হাজারবার ফোন করেছিলেন : সালমান

প্রথম নিউজ, অনলাইন:  সালমান খানের ২০১৯ সালের ‘ভারত’ সিনেমা ছিল নাটক, অ্যাকশন আর হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গল্পের সংমিশ্রণ। কিন্তু সিনেমাটি নিয়ে আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও ক্যাটরিনা কাইফকে নিয়ে কাস্টিং সংক্রান্ত নাটকীয়তা। তখন সালমান খান পিছপা হননি, তিনি খোলাখুলি বলেছিলেন পর্দার আড়ালের গল্প।

বোম্বে টাইমসের সঙ্গে একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে সালমান জানান, প্রিয়াঙ্কা এই ছবিতে কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন।
শুধু পরিচালক আলি আব্বাস জাফরকেই নয়, তিনি সালমানের বোন অরপিতা খান শর্মাকেও বহুবার ফোন করেছিলেন।

সালমান বলেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ওর জন্য খুব কঠিন ছিল, কারণ ও এই প্রজেক্টে কাজ করতে খুব আগ্রহী ছিল। ও অরপিতাকে হাজারবার ফোন করেছে, বলেছে ‘আমি সালমানের সঙ্গে কাজ করতে চাই’। ও আলিকেও ফোন করে বলেছে, ‘দেখো, যদি কোনোভাবে আমাকে এই ছবিতে নেওয়া যায়।

কিন্তু এই আগ্রহ ও প্রচেষ্টার পরও হঠাৎ করেই ‘দেশি গার্ল’ প্রিয়াঙ্কা ছবিটি ছেড়ে দেন, যা সবাইকে অবাক করে দেয়। তখন নানা রকম গুজব ছড়ালেও সালমান একই সাক্ষাৎকারে পরিষ্কারভাবে জানান কেন প্রিয়াঙ্কা বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

সালমান জানান, প্রিয়াঙ্কা তখন এনগেজমেন্টের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং তাকে স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন যে তিনি বিয়ের কারণে ছবিটি ছাড়ছেন।

সালমান বলেন, ও বলল এনগেজড হচ্ছে, আমি বললাম, ‘তুমি যদি এনগেজড হও, তাতে সিনেমা ছাড়ার কী দরকার?’ তখন ও বলল, ‘বিয়ে করতেই হবে।
’ আমি বললাম, ‘তাহলে বিয়ে করো।’

সালমান আরো জানান, প্রিয়াঙ্কার শুটিং ছিল মাত্র ৭৫–৮০ দিনের। বিয়ের জন্য ৪ দিনের প্রস্তুতি, ৪ দিনের বিয়ে – মোট আট দিনেই কাজ শেষ হয়ে যেত। তারা সময় সামঞ্জস্য করতে রাজিও ছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা বলেছিলাম, ‘আমরা ব্যবস্থা করে নেব’, কিন্তু ও খুব স্পষ্ট ছিল যে সে এই ছবিতে কাজ করতে চায় না।

যদিও প্রিয়াঙ্কার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছিল যে বিয়ের কারণেই ছবিটি ছাড়া, অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেন অন্য কোনো কারণ ছিল কিনা। এমনকি সালমান নিজেও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে সম্ভবত আরো কিছু কারণ ছিল।

তিনি বলেন, ও ছবিটা করেনি হয় বিয়ের কারণে, অথবা হয়তো সে আর আমার সঙ্গে কাজ করতে চায় না। হতে পারে সে আর বলিউডে কাজ করতে চায় না, বা শুধুই হলিউডে কাজ করতে চায়। সে যা করতে চায় করুক, আমি ওর জন্য শুভকামনা জানাই। ও এনগেজড হয়েছে, খুশি হয়েছে – এটাই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রিয়াঙ্কা সরে দাঁড়ানোর পর ছবির নির্মাতারা নতুন মুখ খুঁজছিলেন। তখনই আসেন ক্যাটরিনা কাইফ। মজার বিষয়, সালমান জানান, প্রযোজক অতুল অগ্নিহোত্রি ও তার স্ত্রী (সালমানের বোন) আলভিরার প্রথম পছন্দই ছিলেন ক্যাটরিনা।

সালমান বলেন, অতুল আর বেবির (আলভিরা) প্রথম পছন্দ ছিল ক্যাটরিনা। কিন্তু যেহেতু আলি ও প্রিয়াঙ্কা আগে একসঙ্গে কাজ করেছে, তাই আলি প্রিয়াঙ্কার কথাতেই ওকে নিতে চেয়েছিল। কারণ প্রিয়াঙ্কা নিজেই আলিকে বলেছিল সে এই ছবিতে কাজ করতে চায়।

শেষ পর্যন্ত ক্যাটরিনা ‘কুমুদ’ চরিত্রে অভিনয় করেন এবং দর্শকদের প্রশংসা পান।