ভোট পরবর্তী সহিংসতার বলি এবার তৃণমূলের বুথ সভাপতি
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়েছে বেশ কয়েক দিন হয়েছে। কিন্তু এখনো রাজ্যটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে সহিংসতার খবর। কিছুতেই বোমা, গুলি ও সহিংসতা থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত রাজ্যেটিতে।
এবার ভোট পরবর্তী সহিংসতার বলি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানার তেঁতুলতলা সাতমুখি গাজিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি নান্টু গাজি। তার বয়স ৪২ বছর।
জানা গেছে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে বিজয় মিছিল ডেকে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজয় মিছিল শেষে রাতে ঘরে ফেরেন নান্টু। অনেক রাতে নান্টুর বাড়ির সামনে কয়েকজন এসে নাম ধরে ডাকাডাকি করছিল। নান্টু বাড়ি থেকে বের হতেই তাকে এক প্রকার জোর করেই ধরে নিয়ে যায়।
গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের আত্মীয়-স্বজনরা খুঁজতে বের হন। পরে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে রাস্তার ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ক্যানিং থানায়।
সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল নিয়ে যান। সঙ্গে যান নান্টুর আত্মীয়-স্বজনরা। কিন্তু অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে রেফার করা হয়। চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেন।
এই ঘটনায় ক্যানিংয়ের বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, যারা এমন নৃশংস কাণ্ড ঘটালো তারা প্রত্যেকেই শাস্তি পাবে।
তৃণমূল কংগ্ৰের অভিযোগ, এই খুনের পিছনে রয়েছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফন্ট (আইএসএফ)।
এই ঘটনায় এরই মধ্যে ক্যানিং থানার পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। তবে কি কারণে এই ঘটনা ঘটলো পুরোটাই তদন্ত করে দেখছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ।
অপরদিকে ভোট পরবর্তী সহিংসতায় মুর্শিদাবাদ জেলার সালার কাগ্ৰাম গ্ৰামে পঞ্চায়েতের বাবলা পশ্চিমপাড়া গ্ৰামে বোমা ফেটে আহত হয়েছে দুই শিশু। তাদের ভর্তি করা হয়েছে সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।