বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, বিটিআরসি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

শনিবার (২৬ আগস্ট) ভুক্তভোগী নারী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরেই সনজিবকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, বিটিআরসি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) উপ-পরিচালক সনজিব কুমার সিংকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ আগস্ট) ভুক্তভোগী নারী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরেই সনজিবকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

ধানমন্ডি সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার সনজিব ময়মনসিংহের আরকে মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ চন্দ্র সিংয়ের ছেলে। চাকরি সূত্রে ধানমন্ডি এলাকায় থাকতেন সনজিব। তিনি বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম। তিনি বলেন, এক নারী মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সনজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সনজিবের মোবাইল তল্লাশি করে ভুক্তভোগীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। পরে আদালত তাকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন।

এদিকে মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সনজিব ধর্ম পরিবর্তন ও বিয়ে আশ্বাসে ভুক্তভোগীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিভিন্ন প্রলোভনে ভিক্টিমকে বিয়ের আশ্বাসে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। যখন ভিক্টিম বুঝতে পারেন সনজিব তার সঙ্গে প্রতারণা করছেন তখন তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সনজিব ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ওই নারীকে ধর্ষণ এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।

আরও জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট ভিক্টিমকে সনজিব তার ধানমন্ডির বাসায় ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কাঁচের বোতল দিয়ে আঘাত করেন। এরপর আহত অবস্থায় কৌশলে ভুক্তভোগী ওই নারী বাড়ি থেকে চলে আসেন।