বিশ্ব শরণার্থী দিবসে রোহিঙ্গাদের র্যালি
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের র্যালিটি আই- ব্লক পরিদর্শন করেন।
প্রথম নিউজ, কক্সবাজার: বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের টেকনাফে ১৯৯২ সাল থেকে নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরারী শরণার্থীরা র্যালি করেছে। এসময় বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্লেকার্ড হাতে দেখা যায়। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের র্যালিটি আই- ব্লক পরিদর্শন করেন।
এসময় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মুক্ত জীবনে ফিরতে চাই স্লোগানসহ ব্যানার ও প্লেকার্ডে ইংরেজিতে বিভিন্ন স্লোগান তুলে ধরেন। এরমধ্যে আমরা দীর্ঘস্থায়ী পরিস্থিতিতে ভুগছি। শরণার্থী জীবন আর চাই না। অমানবিক উদ্বাস্তু জীবন থেকে আমাদের মুক্তি দিন, রোহিঙ্গাদের জীবনের কোনো মূল্য নেই? আমরা কি মানুষ নই এবং কেন আমরা অবহেলিত? রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কি মানবতা মরে গেছে? ৩১ বছরের অধিক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ টেকসই সমাধান ছাড়াই ভয়ঙ্কর, ভয়ানক, কঠোর ও তেরপালের নিচে সংরক্ষিত স্থানে বসবাস এবং শিক্ষা হতে বঞ্চিত জীবন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে সেদেশের সেনা ও মগের অত্যাচার ও নিপীড়ন সইতে না পেরে ১৯৯২ সালে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা এদেশে শরণার্থী হয়ে চলে আসেন। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় ও শরণার্থী মর্যাদা দিয়ে উখিয়া টেকনাফে আশ্রয় দেওয়া হয়। পরে দ্রুত প্রত্যাবাসন করা হলেও প্রায় ২৫ হাজারের কাছাকাছি শরণার্থী রয়ে যায় উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ও টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া ক্যাম্পে।
এরপর গত ২০১৭ সনে আবারো নির্যাতিত হয়ে আট লাখেরও অধিক রোহিঙ্গা এদেশে আশ্রয় নেয়।। মানবিক কারণে এদেশে তাদের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা হিসবে আশ্রয় দেওয়া হয়। এর মধ্যে কয়েক দফা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করতে চাইলে একজন রোহিঙ্গাও ফিরে যেতে রাজি না হওয়ায় প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়নি।