বাংলাদেশের সঙ্গে লাগতে আইসেন না, টিকতে পারবেন না
বিজেপি নেতা শুভেন্দুকে নুর

প্রথম নিউজ, অনলাইন: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, শুভেন্দুসহ (পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী) ভারতের কিছু নেতা বলে বাংলাদেশকে দখল করে নেবে। আমরা বলি বাংলাদেশের সঙ্গে লাগতে আইসেন না, টিকতে পারবেন না। ভারতই তো অন্য দিকে দখল হয়ে যাচ্ছে। একদিকে পাকিস্তান অন্যদিকে চীন। তাদের সামলাতে জান শেষ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ গুঁতা দিলে ত্রিমুখী গুঁতায় টিকতে পারবেন না। শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় শেরে বাংলা পার্কের মুক্তমঞ্চে গণঅধিকার পরিষদ পঞ্চগড় শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, এখন আমাদের মধ্যে অনৈক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের আধিপত্য, তাদের শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে শুধু আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টের পতন ঘটায়নি ছাত্রজনতা ভারতের আধিপত্যবাদ উচ্ছেদ করেছে। আওয়ামী লীগ ছিলো ভারতের দাস। তারা এখন পালিয়ে ভারতে অবস্থান করছে। নাম বদলে হিন্দু নাম দিয়েছে। চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আর ঠিকানা হবে না। তাদের আর রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ৫ তারিখের পরেও টেম্পুস্ট্যান্ড, বাসস্ট্যান্ড, কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। এখনো অবাধে চলছে। গণঅভ্যুত্থানের পরেও আওয়ামী লীগের মতো দখলবাজি চাঁদাবাজি বন্ধ হয় নি। সাধারণ মানুষের রক্তচোষাদের উপস্থিতি এখনো আছে। তাদের বলতে চাই, ভোট কিন্তু এখনো আসেনি। মানুষ ভোটে এর জবাব দেবে। গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ভারতের দাশে দেশকে পরিণিত করেছে। বিগত দিনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিরিহ বেহায়ার মত বলেছে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক নাকি স্বামী স্ত্রীর মত সম্পর্ক। এই নিলজ্জ বেহারাই ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করেছে মুসলমান থেকে হিন্দুর নাম দিয়েছে বাঁচার জন্য। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমরা চাই ভারতের সঙ্গে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক একটি ন্যায্যতার সম্পর্ক কোন গোলামির সম্পর্ক নয়।
ভিপি নুর বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের এক্সটেনশন এজেন্ট। ভারতের একটা দাস। ভারতের গোলামি করা একটি রাজনৈতিক দল। ২৪ গণ অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের ঠিকানা আর বাংলাদেশে হবে না। পৃথিবীতে এই ধরনের জঘন্য গণহত্যা এবং বর্বরতার পরে কোন রাজনৈতিক দল আর রাজনীতি করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ আর এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। আপনারা কি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চান না। আপনারাও চান। সুযোগ পেলে সার্বজনীন স্বাস্থ সেবা নিশ্চিত করা, বন্ধ চিনিকল চালু করা ও তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ নানা উদ্যোগের কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা।
গণঅধিকার পরিষদ পঞ্চগড়ের আহ্বায়ক মাহফুজার রহমানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর আসাদ, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হানিফ খান সজিব, গণঅধিকার পরিষদ রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মুন্নাফ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে, খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গণসমাবেশ স্থলে আসেন গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।