বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় বিএনপি: কাদের

বিএনপিই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশ ও জাতির স্বার্থ বিসর্জন দেয়

বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় বিএনপি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা চলছে', বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ জানে কারা বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়।

তিনি বলেন, কথায় কথায় যারা দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, যারা বিদেশি দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করে,দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করে,তারাই বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়।

শুক্রবার ( ৯ অক্টোবর) বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই তাদের কর্মকাণ্ডের দ্বারা বিদেশিদের কাছে দেশের ইমেজ নষ্ট করছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ দেশের ইমেজ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপিই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দেশ ও জাতির স্বার্থ বিসর্জন দেয় এবং বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টা করে।  জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে শেখ হাসিনা সবসময় আপসহীন, যদি তিনি জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব সমর্থন করতেন তাহলে ২০০১ সালেই ক্ষমতায় আসতে পারতেন। 

বিএনপির গণ-আন্দোলন প্রসঙ্গেও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জনগণ এখন তাদের এ গণ-আন্দোলনের আহবানের ডাক শুনলে হাসে। কারণ ১৩ বছর বিএনপি বহুবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কিন্তু জনগণ তো দূরের কথা তাদের নেতাকর্মীাই সাড়া দেয়নি। দেশে এই মুহূর্তে গণ-আন্দোলনের বস্তগত কোন উপাদান নাই। অতীতের মতো এবারও জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দিবে না।

‘সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়’, বিএনপির এমন মন্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি একদিকে ভোটে আসবে না, আবার নির্বাচিত হয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম সংসদে যাবে না,সংসদেতো বিএনপির প্রতিনিধিও রয়েছে। তাহলে একদলীয় শাসন হয় কিভাবে? বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে যা করেছিলো জাতি তা ভুলে যায়নি। বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিলো বহুদলীয় তামাশা।

দলের নেতাকর্মীদের সর্তক করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাদের ভবিষ্যতে কোন পদ- পদবী ও মনোনয়ন দেওয়া হবে না। অনিয়ম করে যারা প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছে বা পাঠাবে তাদের বিরুদ্ধে খোঁজ- খবর নেওয়া হচ্ছে, প্রমাণ পাওয়া মাত্রই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না এবং এবারও যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন তাদের ভবিষ্যতে কোন পদ- পদবী ও মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলেও জানান সেতুমন্ত্রী। 

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom