বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আমিরাত সরকার ও ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান
সোমবার (৬ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার, ব্যবসায়ী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। রোববার (৫ মে) দুবাইয়ের একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা: পরিপ্রেক্ষিত তথ্যপ্রযুক্তির রূপান্তর ও উদ্ভূত সমস্যা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের করনীতির সাম্প্রতিক নির্দেশনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাই এ সেমিনারের আয়োজন করে। সোমবার (৬ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সেমিনারে পরিবেশমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান সরকার বিনিয়োগকারীদের সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকার বাংলাদেশের জনসম্পদকে জনশক্তিতে রূপান্তর, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নসহ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে জোর দিয়েছে। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি,পর্যটন, তৈরি পোশাক শিল্প, পাট ও চামড়াজাত শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান, বিশাল কনজিউমার পপুলেশন, সহজলভ্য শ্রমিক—এসব কারণে এখানে বিনিয়োগ অনেক বেশি লাভজনক। সংযুক্ত আমিরাত সরকার, আমিরাতের ব্যবসায়ী, অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের আহ্বান জানাচ্ছি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার জন্য।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট, দুবাইয়ের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর। কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন ডি টেমপিট লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোহসেনা খানম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—বাংলাদেশ কনস্যুলেট, দুবাইয়ের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর আশীষ কুমার সরকার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে হুয়ায়ে টেকের সিইও শাহরিয়ার পাভেল। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, আমিরাতের ব্যবসায়ী, সাংবাদিকবৃন্দ, ভারত ও শ্রীলঙ্কাসহ অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিভিন্ন ক্ষেত্র—নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পর্যটন, তৈরি পোশাক শিল্প, পাট ও চামড়াজাত শিল্প, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, কৃষিপ্রযুক্তি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রভূত সম্ভাবনার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।