বাংলাদেশ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গা নিতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ

রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রসকে এ অনুরোধ করেন আব্দুল মোমেন।

বাংলাদেশ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গা নিতে যুক্তরাজ্যকে অনুরোধ

প্রথম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে পুনর্বাসন করতে দেশটির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

গতকাল রোববার রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিজাবেথ ট্রসকে এ অনুরোধ করেন আব্দুল মোমেন। কিগালিতে কমনওয়েলথ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের ফাঁকে আব্দুল মোমেন ও এলিজাবেথ ট্রস আলোচনা করেন। আজ সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আব্দুল মোমেন প্রস্তাব দেন, যুক্তরাজ্য যেহেতু ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন, তাই তারা বাংলাদেশ থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।

গত শতকের সত্তর ও নব্বইয়ের দশকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিল, ফেরতও গিয়েছিল বলে উল্লেখ করেন আব্দুল মোমেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সে সময় মিয়ানমারের ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা ছিল। তাই তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়েছিল। কিন্তু এখন এ নিষেধাজ্ঞা নেই। বরং যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমা বিশ্ব মিয়ানমারে ব্যাপক বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান এলিজাবেথ ট্রস। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রস্তাবটি বিবেচনা করবে যুক্তরাজ্য। তবে রোহিঙ্গা সমস্যার সবচেয়ে ভালো সমাধান হলো, মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন।

বাংলাদেশ থেকে কমসংখ্যক শিক্ষার্থী যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, এখন যুক্তরাজ্য কমসংখ্যক ভিসা ইস্যু করছে। তিনি শিক্ষার্থী ভিসা ও ব্যবসায়ী ভিসা ঢাকা থেকে দেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের প্রতি অনুরোধ করেন। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom