বাংলাদেশে একটি অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হওয়া উচিত: হুমায়ুন কবির
''বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলগুলির এগিয়ে আসা উচিত। অন্যথায়, বাংলাদেশকে অনেক বড় ফল ভোগ করতে হবে। ''
প্রথম নিউজ, অনলাইন: আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের পর গত এক দশকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্ন বার বার ঘুরে ফিরে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা অসহিষ্ণুতার ক্রমবর্ধমান অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য তারা আওয়ামী লীগের কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। বাংলাদেশের সাথে ওয়াশিংটনের সম্পর্কর ওপর এর প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে যেখানে আমেরিকার বৃহৎ কৌশলগত স্বার্থ জড়িত।
এম. হুমায়ুন কবির, একজন বাংলাদেশি কূটনীতিক যিনি ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার একটি নেতৃস্থানীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) সভাপতি। হুমায়ুন কবির ' দ্য ডিপ্লোম্যাটের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সম্পাদক সুধা রামচন্দ্রনকে বলেছেন, ''বাংলাদেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলগুলির এগিয়ে আসা উচিত। অন্যথায়, বাংলাদেশকে অনেক বড় ফল ভোগ করতে হবে। ''
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বের অন্তর্নিহিত অর্থ কী?
সাম্প্রতিক সময়ে, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক প্রত্যাশা ও হতাশার মধ্য দিয়ে গেছে, আসলে বাংলাদেশের সরকারের নীতির বিষয়ে সহমত নয় যুক্তরাষ্ট্র । গত ১৫ বছরে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাঝে মাঝেই বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার উপর তার অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল, যদিও বহুমাত্রিক এবং বহুস্তরীয় সম্পর্কের কথা মাথায় রেখে বিচ্যুতিগুলি সহ্য করেছিল তারা। আমেরিকা মনে করেছিলো যে, শাসন সংক্রান্ত বিষয়গুলি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর ছায়া ফেলার চেয়ে বাংলাদেশের সমর্থন তার স্বার্থের জন্য বেশি মূল্যবান।
কিন্তু বাইডেন প্রশাসনের সময় গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের দিকে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির ফোকাস ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে গতিশীল পরিবর্তন এনেছে।বাংলাদেশের মানবাধিকারের রেকর্ডে ক্রমাগত পতন এবং গণতান্ত্রিক শাসনের প্রতি ক্রমাগত হুমকি, বিশেষ করে ২০১৮ সালে গুরুতর ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের পর, বর্তমান মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বেশি সক্রিয় বলে মনে করা হচ্ছে । ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে কিছু বাংলাদেশি নিরাপত্তা কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের শীর্ষ সম্মেলন থেকে বাদ দেওয়া এবং ২০২৩ সালের মে মাসে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দু'দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সম্পর্কের অন্যান্য উপাদান যেমন বাণিজ্য, রেমিট্যান্স, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রভাব পড়বে না বলেই অনুমান।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সাথে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে গণতান্ত্রিক অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন উপেক্ষা করতে ইচ্ছুক। কেন?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একদিকে গণতন্ত্রের প্রতি তার মূল্যবোধ এবং অন্যদিকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার স্বার্থের মধ্যে একটি ভারসাম্যর খেলা খেলতে চাইছে বলে মনে হচ্ছে। একদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ঠেকাতে ভারতের মূল্যকে স্বীকৃতি দেয়। এই প্রসঙ্গে বাইডেন প্রশাসন এবং মার্কিন কংগ্রেস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক ওয়াশিংটন ডিসি সফরকে উচ্চ স্তরে গুরুত্ব দিয়েছে।
এদিকে অনেক কংগ্রেস নেতা, সুশীল সমাজ এবং মিডিয়া আউটলেটগুলি ভারতের গণতান্ত্রিক অবস্থান এবং মানবাধিকারের সমস্যাগুলি সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে এই প্রতিষ্ঠানগুলির মূল্যকে অবমূল্যায়ন করা যায় না। হুমায়ুন কবির জানাচ্ছেন , ''আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে, আমরা শিখেছি যে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুশীল সমাজের দ্বারা প্রাথমিকভাবে জনসাধারণের নজরে আনা হয়েছিল, যা পরে কংগ্রেস এবং প্রশাসনের পদক্ষেপকে আকৃষ্ট করেছিল। তাই সরকারের শাসন এবং মানবাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলি প্রশ্নের উদ্রেক করলেও আমরা আগামী মাস এবং বছরগুলিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক বৃদ্ধি পেতে দেখতে পারি। ''
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থ কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এটি কি গণতন্ত্রের প্রতি দায়বদ্ধতার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ?
হুমায়ুন কবিরের দৃষ্টিতে, উভয়ই যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। তার ধারণা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে তার কৌশলগত স্বার্থকে কিছুটা নমনীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। তাই বাংলাদেশের প্রতি সাম্প্রতিক মার্কিন মূল্যবোধ এবং স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলি একীভূত করার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০৮ সালে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছিল এবং ওবামা প্রশাসন বাংলাদেশকে তার বিভিন্ন বৈশ্বিক অগ্রাধিকারের অংশীদার করে তোলে। যদিও বাংলাদেশে একটি দীর্ঘস্থায়ী ধারণা ছিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক শক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে। তবে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার অভাব, বাংলাদেশকে স্পষ্টতই অস্বস্তিতে ফেলেছে এবং চর্চার বিষয় করে তুলেছে।
একই সাথে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থানের জন্য বাংলাদেশের কৌশলগত মূল্যের প্রশংসা করে। চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের পরে বাংলাদেশের বিশাল জনসংখ্যার আকার, এর জনগণের গতিশীলতা এবং সৃজনশীলতা, একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসাবে দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং একটি মধ্যপন্থী মুসলিম গণতন্ত্র হিসেবে বাংলাদেশের খ্যাতিকে তারা গুরুত্ব দিয়ে দেখে । ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ফোকাসের সাথে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সীমানা বন্টন এবং বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে তার ইতিবাচক সম্পৃক্ততা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । বাংলাদেশে বিপুল রোহিঙ্গা জনসংখ্যার উপস্থিতিও এই অঞ্চলে বাংলাদেশের গুরুত্বকে তুলে ধরে ।
ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং চীন সহ বেশ কয়েকটি শক্তির সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশ সতর্কভাবে ভারসাম্য রক্ষা করে চলেছে । এই কৌশল কি অবনতিশীল বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে ?
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের মধ্যে স্থায়ী কোনো জটিলতা দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থের অগ্রগতির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ইতিমধ্যেই এই দিকে কিছু ইঙ্গিত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক আগ্রহের বিষয়ে চীন ও রাশিয়া খোলাখুলিভাবে তাদের মতামত প্রকাশ করেছে। যেহেতু বর্তমান রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ মূলত শাসন-কেন্দ্রিক, তাই বাংলাদেশ তার ভারসাম্যপূর্ণ নীতিতে ফিরে আসতে পারে যদি তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করে তার চলমান রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলি সমাধান করতে পারে। সেইসঙ্গে দেশটি তার গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তিকে পুনর্গঠন করতেও সক্ষম হবে। আসলে বৃহৎ শক্তির সঙ্গে বাংলাদেশ যে ভারসাম্যপূর্ণ কৌশল অবলম্বন করেছে তা কেবল নিজের জন্যই নয়; প্রকৃতপক্ষে দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ।
সাধারণ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি সমর্থনে ভারত কি উদাসীন?
আসলে ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তার সন্দেহজনক অংশগ্রহণ থেকে শিক্ষা নিয়েছে, বিশেষ করে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময়। যা নিয়ে এখনো দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ। তবে এই মুহূর্তে কোন সিদ্ধান্তে আসা কঠিন হবে যে ভারত আসলে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের বিপরীতে তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে। কারণ গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সাথে তার সম্পর্ক থেকে ভারত ব্যাপকভাবে উপকৃত হয়েছে। আসলে ভারত এখন রাজনীতির আলোকে তার বিকল্পগুলিকে সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে।প্রতিবেশী বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের ভূমিকা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক মন্তব্য আকর্ষণীয়। ভারত যদি সত্যিই তার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি থেকে দূরত্ব বজায় রাখার নীতি মেনে চলে, তবে তা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, পারস্পরিক স্বার্থ এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে ভারতের সাথে একটি ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক এবং নির্ভরতা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। অনেক সাধারণ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে একটি অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজন।
পশ্চিমাদের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ সরকারের সম্ভাবনা কতটা ?
এই প্রশ্নের কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া কঠিন। বাংলাদেশের ইতিহাস আশা- হতাশার অনুভূতিতে ভরা একটি মিশ্র চিত্র উপস্থাপন করে। আশার বিষয় হলো , অতীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতায় আসতে হয়েছিল এবং তারা সহযোগীদের পরামর্শও উপেক্ষা করতে পারেনি। হতাশার দিকটি হলো, অতীতের বেশিরভাগ রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলি 'স্ট্রিট পাওয়ারের' ভিত্তিতে নিষ্পত্তি হয়েছিল, যাকে পরবর্তীতে নির্বাচনী ফলাফলে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়। তাই ২০২৪ সালে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে একটি সাধারণ কাঠামো তৈরিতে সর্ব সম্মত হতে হবে। অন্যথায় বিষয়টি অনেকটা ব্যয়বহুল হতে পারে। অনেক পণ্ডিত দুটি অশুভ ফলাফলের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। একটি হতে পারে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অনুশীলনের সম্পূর্ণ ধ্বংস। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অগ্রাহ্য করে সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সমান । অন্যটি হতে পারে উন্নয়ন অংশীদার এবং অন্যান্য বৈশ্বিক স্টেকহোল্ডারদের আস্থা হ্রাস যার প্রভাব পড়তে পারে দেশের অর্থনীতির ওপর। স্পষ্টতই, এই সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থা হারানো উচিত নয়। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর শোনাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
সূত্র : দ্য ডিপ্লোম্যাট
লেখক : সুধা রামচন্দ্রন, দ্য ডিপ্লোম্যাটের দক্ষিণ এশিয়া সম্পাদক
অনুবাদ : সেবন্তী ভট্টাচার্য