বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বিজিপি সদস্যদের সংখ্যা বেড়ে ১৭৯
এ ঘটনায় বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
প্রথম নিউজ, কক্সবাজার: মিয়ানমারের বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সাথে সংঘর্ষের জেরে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১৭৯ জন অস্ত্রধারী বিজিপি সদস্য আসাততলী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে আহত নাইক্ষ্যংছড়ির ইউপি সদস্য ছাবের হোসেন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বর্তমান অবস্থা আশঙ্কা মুক্ত বলে জানান চিকিৎসক।
এর আগে গত ৪ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কয়েক ধাপে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে মিয়ানমারের মোট ৩৩০ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেন। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি উখিয়ার ইনানী নৌ-বাহিনীর জেটিঘাট থেকে তাদের মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আহত ছাবের হোসেন জানান, মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্যে জামছড়ি এলাকার সীমান্তে যান তিনি। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ফোন করার সময় হঠাৎ একটি গুলি এসে তার বাম পায়ের হাঁটুতে লাগে। এতে তিনি আহত হন।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার জামছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলছে ব্যাপক গোলাগুলি। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে গোলাগুলির শব্দ সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝে আবার নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে ইউপি সদস্য ছাবের হোসেন বিজিবির জামছড়ি সীমান্ত চৌকি এলাকায় গিয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের খোঁজখবর নেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকও তার সাথে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি গুলি এসে ছাবের হোসেনের বাম পায়ের হাঁটুতে লাগে। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু জাফর মোহাম্মদ ছলিম জানান, সীমান্তে গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্য ছাবের হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।