বিধ্বস্ত হওয়ার অজুহাত দিচ্ছে ব্রড: স্টার্ক
ভরাডুবির ওই সিরিজ ‘সত্যিকারের অ্যাশেজ’ হিসেবে গণ্য করতে নারাজ ব্রড।
প্রথম নিউজ ডেস্ক: করোনার মধ্যে হওয়ায় সবশেষ অ্যাশেজ সিরিজকে গোনার বাইরে রাখেন মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ইংলিশ পেসারের এমন কথার পাল্টা জবাব দিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ান পেসারের প্রশ্ন— বিধ্বস্ত হওয়ার কারণে অজুহাত দিচ্ছেন না তো ব্রড।
সবশেষ অ্যাশেজে ২০২১-২২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে রীতিমতো উড়ে যায় ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি তারা হেরে যায় ৪-০ ব্যবধানে। কেবল সিডনি টেস্ট ড্র করতে পারে তারা শেষ জুটির নাটকীয়তায়। বৃষ্টিতে অনেকটা সময় খেলা নষ্ট না হলে হয়তো হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেতেন ইংলিশরা।
ভরাডুবির ওই সিরিজ ‘সত্যিকারের অ্যাশেজ’ হিসেবে গণ্য করতে নারাজ ব্রড। ডেইলি মেইলে গত মাসে তিনি বলেছিলেন, কোভিডের কারণে কোয়ারেন্টিন ও নানা বাধ্যবাধকতায় ওই সিরিজে লড়াইয়ের উপযুক্ত পরিবেশই ছিল না। তাই সিরিজটিকে বাতিলের খাতায় রেখেছেন তিনি।
এখানেই আপত্তি স্টার্কের। বুধবার অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে তিনি বলেন, বড় হারের কারণে অজুহাত দিচ্ছেন ব্রড। তিনি জানান, ওটা কি সত্যিই কোয়ারেন্টিন ছিল? ওই সফরে তাদের তো গলফ খেলারও সুযোগ ছিল। এটা কি ৪-০ ব্যবধানে হারার অজুহাত? চমৎকার সিরিজটির অংশ হওয়া দারুণ ব্যাপার ছিল। তাদের জন্য পুল, জিমের ব্যবস্থা ছিল। তারা গোল্ড কোস্টে রিসোর্টে ছিল। অনুশীলন করেছিল মেট্রিকন স্টেডিয়ামে। রুমে বন্দি হয়ে থাকতে হয়নি, তাদের পরিবারও সঙ্গে ছিল।
ব্রডের মন্তব্য হাস্যকর মনে হয়েছে স্টার্কের কাছে। তার মতে, কোভিডের সময় হলেও স্বাভাবিক পরিবেশই পেয়েছিল ইংল্যান্ড। স্টার্ক বলেন, সবচেয়ে হাস্যকর হচ্ছে— গোল্ড কোস্টে তারা এটাকে জৈব সুরক্ষাবলয় বলছে। কোয়ারেন্টিনের অভিজ্ঞতা আমার সাতবার হয়েছে। এটাই ছিল সবচেয়ে সহজ। এবারের অ্যাশেজ ইংল্যান্ডের মাটিতে। আগামী ১৬ জুন এজবাস্টনে শুরু হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের ঐতিহাসিক সিরিজটি।