বিদ্যুৎ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চান পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি
অন্যথায় বুধবার থেকে গণছুটিতে যাওয়ার ঘোষণা
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অপসারণ/শাস্তি নিশ্চিতপূর্বক বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়করা। মঙ্গলবার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় বুধবার অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী পূর্বঘোষণা ও প্রস্তুতি অনুযায়ী একযোগে স্টেশন ত্যাগপূর্বক গণছুটি প্রয়োজনে গণপদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা। তাদের দাবি, এর ফলে দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং সারা দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে। আর এজন্য পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং বিদ্যুৎ বিভাগ দায়ী থাকবে। সোমবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সমন্বয়ক আব্দুল হাকিম, মো. আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া ও প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রোদ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ও ৪৭ বছর ধরে চলমান শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সকল অনিয়মিত/চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছে। আর এই আন্দোলন চলতি বছরের প্রথম থেকে স্মারকলিপি প্রদানসহ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল ও গ্রাহক সেবা চালু রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে করে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হলেও আরইবি’র অসহযোগিতায় যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাতে না পারায় গত ২৪শে আগস্ট প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।