ফেনীতে জাল ভোট দিতে গিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ আটক ১০

ফেনীতে জাল ভোট দিতে গিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ আটক ১০

প্রথম নিউজ, ফেনী : ফেনী সদর, দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দিতে গিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং এজেন্টসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। 

পুলিশ জানায়, সকালের দিকে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে সদর উপজেলার ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৬ জন, পিটিআই কেন্দ্রে থেকে একজন পোলিং এজেন্ট ও একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, দাগনভূঞা উপজেলার গজারিয়া কেন্দ্রে একজন এবং সোনাগাজী উপজেলার রাজাপুর মাস্টার মুজিবুল হক একাডেমি কেন্দ্রে থেকে একজনকে আটক করা হয়েছে। 

ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাল দেওয়ার চেষ্টা করলে কেন্দ্র থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়। তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। 

ফেনী পিটিআই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা উজ্জ্বল চন্দ্র দাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. শাহআলম এবং পোলিং এজেন্ট নাসির উদ্দিন মানিককে ম্যাজিস্ট্রেট আটক করেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। 

অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (কুমিল্লা অঞ্চল) ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় তাদের আটক করা হয়েছে। 

নির্বাচনে ফেনী সদর উপজেলায় তিনটি পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৮১৬ জন। এতে ১৪০টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৬৫টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। দাগনভূঞা উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫৩ জন।উপজেলার ৭২ কেন্দ্রে ৫৮২টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে সোনাগাজী উপজেলায় দুইটি পদে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৮৮ জন। উপজেলার ৭২ কেন্দ্রে ৫৭৫টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে।