পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা: ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ

চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ থেকে ৯ লাখ টাকা নিতো তারা। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা।

পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা: ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ
প্রতারক চক্রের চার সদস্য

প্রথম নিউজ, ঢাকা: কখনও রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), আবার কখনও এসআই পরিচয়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ থেকে ৯ লাখ টাকা নিতো তারা। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ জন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা।

রাজধানীর মিরপুর ও মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের মূল হোতা মো. হেলাল উদ্দিন (৫১), সহযোগী মো. মফিজুল ইসলাম ওরফে লেবু (৪৭), খন্দকার মারুফ (৩৭) ও আব্দুল কাদের ওরফে রাজুকে (২৯)মঙ্গলবার (৩১ মে) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ২৪টি সিলমোহর, ভুয়া নিয়োগপত্র ১১ পাতা, নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র, আটটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২১ হাজার ৫০০ টাকা।

র‌্যাব-৩ এর ব্যাটালিয়ন সদর দফতর, টিকাটুলি অধিনায়কের কার্যালয়ে আজ বুধবার (১ জুন) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের মূল হোতা হেলাল উদ্দিন ডিগ্রি পাস। সে নিজেকে মোহাম্মদপুর থানার অবসরপ্রাপ্ত ওসি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। গ্রেফতর মফিজুল ইসলাম ও আব্দুল কাদির রাজু দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশেষ করে লালমনিরহাট, বগুড়া, কুমিল্লা থেকে চাকরিপ্রার্থী ও তাদের অভিভাবকদের হেলালের কাছে নিয়ে আসতো। হেলাল বস, সে চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিতো। উবারে করে আসা গাড়িকে নিজের বলে দাবি করে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের সামনে নিয়ে গাড়ি থেকে নামতো এবং চাকরিপ্রার্থী ও তাদের অভিভাবকদের আস্থা অর্জন করতো। বিভিন্ন সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ সিলমোহর ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্বাক্ষর সংবলিত অফিস আদেশ ও ভুয়া নিয়োগপত্র খামে করে ভুক্তভোগীদের হাতে ধরিয়ে দিতো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এই চক্রের সদস্যরা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা এবং বিশেষ অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম ভাঙিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে প্রতারণা করে আসছে।